কলকাতা শিক্ষা ভবন। ফাইল ছবি।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করায় শিক্ষকদের একাংশকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু সোমবার কসবার শিক্ষা ভবনে তার উত্তর জমা দিতে গিয়েও দিতেপারেননি বলে অভিযোগ করলেন কলকাতার কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, শো-কজ়ের চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তার উত্তর জানানোর কথা বলেছিল শিক্ষা দফতর। সে কারণে এ দিন তাঁরা সেই উত্তর নিয়ে শিক্ষা ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু দফতরের আধিকারিকেরা সেই শো-কজ়ের চিঠি গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ।
যে সব শিক্ষক এ দিন শো-কজ়ের চিঠি জমা দিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের এক জন বিলাস বৈরাগী বলেন, ‘‘গত ১০ মার্চ ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করায় আমাদের শো-কজ় করা হয়েছে। অথচ কলকাতা জেলার বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আজ ছুটি নিয়ে ডিআই অফিসে গিয়েও শো-কজ়ের উত্তর জমা দিতে পারেননি। আমাদের বলা হয়, শিক্ষকদের কাছ থেকে শো-কজ়ের চিঠি জমা নেওয়ার কোনও নির্দেশ নেই। কাজ হল না, অথচ একটা কাজের দিন নষ্ট হল। শো-কজ়ের চিঠির জমা দেওয়ার জন্য আর মাত্র দু’দিন আছে।’’
এ দিকে, কলকাতা শিক্ষা ভবনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শিক্ষকদের নিজেদের এসে ওই শো-কজ়ের চিঠি জমা দেওয়ার দরকার নেই। প্রধান শিক্ষক অথবা তাঁর কোনওপ্রতিনিধি শিক্ষা ভবনে শো-কজ়ের চিঠি জমা দিলেই চলবে। তাই শিক্ষকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। কেন শিক্ষকেরা এক দিন স্কুলে অনুপস্থিত থেকে শো-কজ়ের চিঠি জমা দিতে এলেন?’’
যদিও শিক্ষকদের একাংশ জানান, প্রধান শিক্ষকেরা তাঁদের শো-কজ়ের চিঠি জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনও উৎসাহ দেখাননি। তাই তাঁরা নিজেরা ওই চিঠি জমা দিতে এসেছিলেন। চিঠি জমা দেওয়ার জন্য যে শিক্ষকদের সশরীরে আসার দরকার নেই, সে কথা কেন বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে লেখা নেই, সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘এ ভাবে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের ছুটিনিয়ে বার বার অফিসে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে বলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার যে ক্ষতি হচ্ছে, তাতে শিক্ষা দফতর বা সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই। আর ডিএ-র ন্যায্য দাবিতে এক দিন ধর্মঘট করলেই যত অসুবিধা। শো-কজ়ের চিঠি পাচ্ছেন শিক্ষকেরা।’’