private hospitals

চার লক্ষেরও বেশি টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের

এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে চার লক্ষ টাকারও বেশি ফেরত দিতে সোমবার নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১ ০৬:০৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

করোনা কেড়ে নিয়েছে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীকে। এখন তরুণী বধূর অবলম্বন বলতে চার বছরের ছেলে। সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পরিজনদের চিকিৎসার খরচ দাঁড়িয়েছিল বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। সেই মামলার শুনানিতে দেখা যায়, অক্সিজেনের খরচ বাবদ অনেক বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে চার লক্ষ টাকারও বেশি ফেরত দিতে সোমবার নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন।

Advertisement

সোমবার শহরের চারটি হাসপাতালের বিষয়ে দু’টি করে মামলার শুনানি হয়। কমিশন জানায়, রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দা মধুমিতা বাগচীর এক আত্মীয় রতন সাহা কমিশনের কাছে কয়েক দিন আগে চিকিৎসার বিলের টাকা কমানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। গত মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হন ওই পরিবারের কর্তা সুশান্ত বাগচী (৬৬), তাঁর স্ত্রী লীনা (৫৮) ও ছেলে শুভময় (৩৪)। গত ৮ মে মৌলালিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় সুশান্তবাবুকে। তার পরের দিন, ৯ মে রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন লীনাদেবী ও শুভময়। ২২ মে মারা যান সুশান্তবাবু। তার দু’দিন পরে, ২৪ মে মৃত্যু হয় ছেলে শুভময়ের। লীনাদেবী মারা যান ২৬ মে।

মৌলালির ওই হাসপাতালে ওষুধ ছাড়া সুশান্তবাবুর চিকিৎসা বাবদ দু’লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিল হয়েছিল। আর রাজারহাটের হাসপাতালে মা-ছেলের চিকিৎসার মিলিত বিল দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। সে সময়ে মধুমিতার পরিজনেরা মিলে টাকা জোগাড় করে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য কমিশনের কাছেও বিষয়টি জানান।

Advertisement

স্বাস্থ্য কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ১৭ দিনে লীনাদেবীর অক্সিজেন খরচ বাবদ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭০০ টাকা বিল করেছিল রাজারহাটের ওই হাসপাতাল। আর ১৪ দিনে শুভময়ের অক্সিজেনের খরচ বাবদ নেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬০০ টাকা। অক্সিজেনের খরচ বাবদ এত বেশি টাকা কেন নেওয়া হয়েছে, ওই হাসপাতালের কাছে তা জানতে চেয়েছিল কমিশন। উত্তরে হাসপাতাল দাবি করে, অক্সিজেনের ঘাটতির সময়ে তা জোগাড়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালের দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। দু’টি বিল খতিয়ে দেখে ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে অভিযোগকারী বা তাঁদের তরফে কেউ উপস্থিত না থাকায় মৌলালির হাসপাতালের বিলের বিষয়ে আলোচনা করা কমিশনের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

অন্য দিকে, পঞ্চসায়রের আর একটি হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগীর পরে করোনা ধরা পরে। অভিযোগ, তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলেও

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আচমকা করোনা রোগীকে ছাড়া যাবে না। তাই অন্যত্র ভর্তির ব্যবস্থার প্রমাণ দেখাতে হবে। ফলে তিন দিন ওই হাসপাতালেই রোগীর চিকিৎসা হয়। সেই মামলায় চিকিৎসার খরচ বাবদ ৪৫ হাজার টাকার বিল থেকে ২৪ হাজার টাকা ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এ ছাড়া, আরও দু’টি মামলায় টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement