n অপেক্ষা: প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রবীণেরা। মঙ্গলবার। ছবি: সুমন বল্লভ।
করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় কেটেছে প্রায় এক বছর। অবশেষে সোমবার রাজ্যে প্রবীণদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হল। সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি কেউই।
এ দিন সকালে কিছু ক্ষণের জন্য কো-উইন-২ পোর্টাল চালু হতেই দ্রুত নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিষেধককেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনেকেই।
কিন্তু দুপুর ১২টার আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পোর্টালটি খুলতে না পারায় বেশ কিছু ক্ষণ প্রতিষেধককেন্দ্রে বসেই অপেক্ষা করতে দেখা গেল প্রবীণদের। করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার বিষয়ে তাঁদের উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মতো। হুইলচেয়ারে চেপে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন গুণপ্রকাশ মেহতা। প্রতিষেধক নিয়ে হাসিমুখে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
আবার প্রতিষেধক নেওয়ার পরে ‘গট্ ভ্যাকসিনেটেড, আই অ্যাম হ্যাপি, থ্যাঙ্ক ইউ’—লেখা কাট আউটের ভিতরে মুখ রেখে ছবিও তুললেন অনেকে। রাসবিহারীর বাসিন্দা ৬৯ বছরের রাজেন্দ্রকুমার গুপ্তের কথায়, ‘‘ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষা করার পরে প্রতিষেধক নিলাম। কোনও অসুবিধা হয়নি। এখন মনে বেশ একটা জোর পাচ্ছি।’’ এ দিন শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ২৫টি কেন্দ্রে প্রবীণদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়।
অন্যেরা কেমন থাকেন, তা দেখার পরেই প্রতিষেধক নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন বালিগঞ্জের ৬৩
বছরের বৃদ্ধা কিরণ পোদ্দার। কিন্তু এ দিন মত বদলে হাসপাতালে পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক বয়স্ক চিকিৎসকেরাও তো প্রতিষেধক নিয়েছেন। তাঁদের তো কিছু হয়নি। তা দেখে মনে জোর এনে আমিও এগিয়ে গেলাম।’’ করোনা ভীতিতে এক বছর ধরে বেড়ানোর ইচ্ছেকে মনেই চেপে রেখেছিলেন রামগড়ের এক আবাসনের বাসিন্দা শুভাশিস পাল। তাঁর কথায়, ‘‘ভেবেই রেখেছিলাম প্রবীণদের জন্য চালু হলে প্রথম দিনেই প্রতিষেধক নেব। কোথাও একটা বিশ্বাস তো রাখতে হবে। না হলে অতিমারিকে জয় করে আবার বেড়াতে বেরোব কী করে?’’ তবে সব জায়গাতেই সমস্যায় ফেলেছে পোর্টাল।