সংঘর্ষে বুকে গুলি লাগে বিশ্বনাথের। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ
এককালের কাছের বন্ধুই পেশার দৌলতে শত্রু হয়ে উঠছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দিতেই বাঁশদ্রোণীর গুলি কাণ্ড!
ভরদুপুরে কলকাতায় চলল গুলি। এলাকার দুই প্রোমোটারের গোলাগুলিতে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। জানা গিয়েছে, মলয় দত্ত ও বিশ্বনাথ সিংহ ওরফে বাচ্চুর ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা। গোলাগুলিতে আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হলেন মলয়। পিঠে গুলির ক্ষত নিয়ে বিশ্বনাথ ভর্তি রয়েছেন পঞ্চসায়রের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিশ্বনাথ যান মলয়ের অফিসে। সেই অফিসেই প্রথম মলয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালান বিশ্বনাথ। পাল্টা গুলি চলে অন্য তরফেও। আহত হন বিশ্বনাথও। এই ঘটনা সিন্ডিকেট রাজের ফল, কি না তা দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই গোলাগুলি।
বিশ্বনাথের পরিবার সূত্রে খবর, একটি জমি কিনে সেখানে প্রোমাটারি ব্যবসার জন্য তৈরি করছিলেন তিনি। কিন্তু কার্যত গায়ের জোরে সেই জমি দখল করেন মলয় ও তাঁর দলবল। এই গুলির ঘটনা নিয়ে বিশ্বনাথের স্ত্রী বলেন, ‘‘সকালে বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বিশ্বনাথ। তার ঠিক দশ মিনিটের মধ্যেই বাড়িতে ফোন আসে। জানানো হয়, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বনাথ।’’ কিছু ক্ষণ পরে নিজেই বাইক চালিয়েই বাড়ি ফেরেন বিশ্বনাথ। তবে রক্তাক্ত অবস্থায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন বলে জানান তাঁর ছেলে।
বিশ্বনাথ এখন বাঁশদ্রোণীর এক জন প্রোমোটার ব্যবসায়ী। জমি কিনে নির্মাণের কাজ করেন। সেই সূত্রেই একটি জমি নিয়ে পুরনো বন্ধু এবং আর এক প্রোমোটার মলয়ের সঙ্গে তাঁর সমস্যার শুরু। একই জমি নিয়ে দুই পুরনো বন্ধুর টানাটানি ক্রমে বাড়তে বাড়তে বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছয়।
প্রসঙ্গত, বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুর এমনিতে শান্তিপূর্ণ এলাকা বলেই পরিচিত। তবে গত কয়েক বছরে সে খানে জমি বিক্রি এবং আবাসন নির্মাণের কাজ বেশ জোরদার শুরু হয়েছে। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের দৌলত বেড়েছে জমির দামও। সেই সূত্রেই জমির ব্যবসার রমরমা বেড়েছে ওই এলাকায়।
আপাতত মলয় এবং বিশ্বনাথের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুলিশ তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।