নিউ টাউনে রাস্তার ধারে প্যানিক বাটন এখনও সংযোগহীন। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে সুদৃশ্য খুঁটিতে ইস্পাতের পাতের উপরে বসানো রয়েছে বাটনগুলি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাস্তায় কেউ বিপদে পড়ে ওই বাটনে চাপ দিলে মুহূর্তের মধ্যে তিনি প্রশাসনের সাহায্য পাবেন। যদিও সংযোগের কাজ শেষ না হওয়ায় কবে থেকে এই প্রকল্প চালু হবে,তা এখনও অনিশ্চিত। সবুজ শহর নিউ টাউনের ১ নম্বর অ্যাকশন এরিয়ায় ইতিমধ্যেই বসেছে ওই প্যানিক বাটন। কিন্তু, সেগুলি এখনও কাজ শুরু করেনি। নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) কর্তাদের দাবি, দ্রুত প্রকল্পটি চালু করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
নিরাপত্তা-সহ যে কোনও ধরনের সমস্যায় পুলিশি সাহায্য পেতে ১০০ ডায়ালের উপরে নির্ভর করতে হয় কলকাতা বা বিধাননগরবাসীদের। কিন্তু প্রয়োজনের সময়ে বহু ক্ষেত্রেই সেই পদ্ধতি কাজে লাগানোর মতো মানসিকতায় থাকেন না অনেকে। যে কারণে নিউ টাউনের ১ নম্বর অ্যাকশন এরিয়ায় ওই প্যানিক বাটন চালুর প্রকল্প হাতে নিয়েছিল এনকেডিএ। এমনকি, সংস্থার সদর দফতরের একতলায় এর জন্য কন্ট্রোল রুম পর্যন্ত তৈরিও হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এই প্রকল্প সম্পূর্ণ ভাবে তথ্যপ্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল। এনকেডিএ-র এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বাটনগুলির প্যানেল জোড়া দেওয়ার কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। মাটির নীচ দিয়েঅসংখ্য কেব্ল নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই কাজের জন্য। সেই সব কেব্ল জোড়া দেওয়ার কাজেই খানিকটা দেরি হচ্ছে। যে সংস্থা ওই কাজ করছে, তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। ওইআধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত ওই সব প্যানিক বাটন চালু করে দিতে। ১ নম্বর অ্যাকশন এরিয়ায় এই প্রকল্পে সাফল্য এলে অন্য এলাকাগুলিতেও প্যানিক বাটন বসানোর কথা ভাবা যেতে পারে।’’
উল্লেখ্য, অতীতে নিউ টাউনের রাস্তায় ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়ে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েছিলেন এক তরুণী।ফ্ল্যাটের অদূরে চুরি হতে দেখেও সময় মতো পুলিশকে খবর দিতে পারেননি প্রতিবেশী— এমন ঘটনাও ঘটেছে। এ হেন পরিস্থিতিতে কেউ ওই প্যানিক বাটনে চাপ দিলে দ্রুত পুলিশের কাছে সেই খবর পৌঁছে যাবে। এনকেডিএ-র কন্ট্রোল রুমে পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ সব ধরনের পরিষেবা থাকার কথা।
সম্প্রতি নিউ টাউনে গিয়ে দেখা গেল, সংযোগহীন প্যানিক বাটন টিপে খেলছে পথশিশুরা। তাদের বারণ করতে দেখা গেল এক বয়স্ক নাগরিককে। এনকেডিএ-র আশ্বাস, নিরাপত্তার কারণেই যত দ্রুত সম্ভব প্যানিক বাটন চালু করতে চাইছে তারা।