Bowbazar

বৌবাজারে প্রথম বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু

২০১৯ সালের ৩১ অগস্টে প্রথম বার বিপর্যয়ের পরে চলতি বছরের ১১ মে এবং ১৪ অক্টোবর ফের বৌবাজারে বিপত্তি ঘটে। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহলের লোকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ০৯:০৬
Share:

দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি বাড়ির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব চিত্র।

সাম্প্রতিক বিপত্তির পরে বৌবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ আর এগোয়নি। তবে, বাসিন্দাদের ক্ষোভের আঁচ কিছুটা কমাতে ভেঙে পড়া বাড়ির একাংশের পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বৌবাজারে তৃতীয় বার বিপর্যয়ের সময়েই তাঁরা জানিয়েছিলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম বার বিপর্যয়ে ভেঙে পড়া বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। আপাতত, সেই তৎপরতার অঙ্গ হিসেবেই কাজ শুরু করার জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল (কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড)-এর পক্ষ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার সংস্থা চূড়ান্ত হওয়ার পরে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ির কাজ শুরু করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে বৌবাজারে দুর্গা পিতুরি লেন সংলগ্ন জায়গার জমিতে মেট্রোর কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে। সময় মতো ওই কাজ সম্পূর্ণ করা আদৌ সম্ভব হবে কি না, সেই আশঙ্কার মধ্যেই প্রথমবার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি বাড়ির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হল মেট্রোর পক্ষ থেকে।

Advertisement

২০১৯ সালের ৩১ অগস্টে প্রথম বার বিপর্যয়ের পরে চলতি বছরের ১১ মে এবং ১৪ অক্টোবর ফের বৌবাজারে বিপত্তি ঘটে। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহলের লোকজন। মেট্রোর কাজ মিটে যাওয়ার পরে ওই এলাকার বাড়িগুলির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ক্ষেত্র পরিমাপ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দলের। মেট্রো চলাচলের ফলে বাড়ির কোনও ক্ষতি হবে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার কথা কমিটির। অন্তর্বর্তী সময়ে কমিটির পক্ষ থেকে জীর্ণ বাড়ির স্বাস্থ্য সম্পর্কে নজরদারি চালিয়ে নিয়মিত ভাবে কলকাতা পুরসভা এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যালোচনার ভিত্তিতেই পুনর্নির্মাণ করতে হবে এমন বাড়ির সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে খবর। মেট্রোর পক্ষ থেকে যে বরাত দেওয়া হয়েছে, সেখানেও বাড়ির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শর্তে জানানো হয়েছে। প্রায় ২০ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।

এর আগে পুরসভার পক্ষ থেকে আধুনিক নির্মাণ বিধি মেনে বাড়ি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় বাসিন্দাদের। সেখানে রাস্তা এবং নিকাশির জন্য উপযুক্ত ছাড় রেখে বাড়ির তলা বাড়িয়ে বাসস্থানের সংস্থান করার পাশাপাশি স্বর্ণশিল্পীদের কাজের জন্য আলাদা জায়গা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের অনেকেই জমির মালিকানার অধিকার ছাড়তে রাজি না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা নিয়ে বেশি দূর এগোনো যায়নি। ফলে, আগে যেভাবে বাড়ি ছিল, সেই ভাবেই বাড়ি তৈরি করে দিতে হবে নির্বাচিত ঠিকাদার সংস্থাকে। একই সঙ্গে রাস্তা, জল, নিকাশির কাজও করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে দু’বছরের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement