—প্রতীকী চিত্র।
মদ কেনার সময়ে বচসার জেরে সুশান্ত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত চার জনকে দফায় দফায় জেরা করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতেরা দাবি করেছে, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথম বার মদ কিনতে এসেছিলেন সুশান্ত। পরে আরও দু’বার তিনি ওই দোকানে মদ কিনতে আসেন। তৃতীয় বার আসার পরেই হাতাহাতি শুরু হয়। সুশান্তই প্রথমে এক কর্মীকে চড় মেরেছিলেন বলে জেরায় দাবি করেছেন ধৃতেরা। পুলিশ যদিও অভিযুক্তদের দাবি খতিয়ে দেখছে। লেক থানা এলাকার ঢাকুরিয়া সেতু সংলগ্ন একটি দোকানের এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে ওই দোকানের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির পরে মৃত্যু হয় সুশান্ত মণ্ডল নামে সেই গাড়িচালকের। মৃতের পরিবারের সদস্যেরা পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দোকানের মালিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, নিয়মিত ওই দোকানে মদ কিনতে যেতেন সুশান্ত। এমনকি, রবিবার মোট তিন বার তিনি দোকানে যান। প্রথম বার যখন গিয়েছিলেন, তখন কর্মীরা দোকানের সামনের অংশ বন্ধ করে সদ্য আসা মদের হিসাব মেলাচ্ছিলেন। মদ দিতে দেরি কেন হচ্ছে, এ নিয়েই তাঁদের সঙ্গে সুশান্তের প্রাথমিক ভাবে ঝামেলা হয়। তা মিটে গেলে পরে আরও এক বার মদ নিয়ে যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের দাবি, তার পরে ফের মদ নিতে এলে মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ শুরু করেন সুশান্ত। তা নিয়েই ফের গোলমালের সূত্রপাত হয়। সেই গোলমাল পরে মারধরের আকার নেয়।
সোমবার মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের মাথায় ডান দিকে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাত রয়েছে মুখের অন্যান্য অংশেও। এমনকি, মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলেও জানা গিয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘মাথা ছাড়া শরীরের বাকি অংশে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে এই ঘটনার পিছনে পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল কি না, আমরা খতিয়ে দেখছি। ধৃতদের সব দাবিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’