মঙ্গলবার ট্র্যাফিক গার্ডের এসি-ওসিদের নিয়ে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার। ফাইল চিত্র।
কর্তব্যরত অবস্থায় পথ-দুর্ঘটনার জেরে গত এক মাসে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের দুই কর্মীর। জখম হয়েছেন আরও জনা চারেক। এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বাহিনীকে জানান, ট্র্যাফিক আইন ভাঙা গাড়ি ধাওয়া করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার ট্র্যাফিক গার্ডের এসি-ওসিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন ট্র্যাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। সেখানেই এ কথা বলেন কমিশনার।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, অনেক সময়ে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে চালকেরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময়ে বাইক নিয়ে ধাওয়া করে বা দৌড়ে সেই গাড়ি আটক করেন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। ওই বৈঠকে পুলিশকর্তারা ওসিদের জানান, কোনও গাড়ি ট্র্যাফিক আইন অমান্য করলে তার নম্বর লিখে বা ছবি তুলে আইনভঙ্গের মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু গাড়ি থামানোর চেষ্টা করতে বারণ করা হয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, বৈঠকে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের কাজের কিছু ভিডিয়ো দেখানো হয়। দেখা যায়, ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা দ্রুত গতিতে চলা গাড়ির মাঝেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করছেন। শীর্ষ কর্তারা বাহিনীকে বলেছেন, খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তার মাঝখানে না দাঁড়িয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে ট্র্যাফিক সামলাতে হবে। বলা হয়েছে, সব রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই রাস্তায় নামতে হবে বাহিনীকে। এই নির্দেশের কথা ইতিমধ্যেই সার্জেন্ট, কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের জানানো হয়েছে।
গত ১৩ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধী রোড এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মোড়ে ডিউটি করার সময়ে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের এক কনস্টেবলের। আবার গত সোমবার বাসন্তী হাইওয়েতে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট শশিভূষণ মিঞ্জের। লালবাজার সূত্রের খবর, এর জেরে উদ্বিগ্ন কর্তারা। জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের ওই কনস্টেবলের মৃত্যুর পরেই পুলিশকর্মীদের বলা হয়েছিল রাতের ডিউটি করার সময়ে ফ্লুরোসেন্ট জ্যাকেট ও লাইট ব্যবহার করতে।