—প্রতীকী ছবি।
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা কাটানোর উদ্দেশ্যে প্রভাব খাটাতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লোজ়ড ইউজ়ার গ্রুপ নম্বর ক্লোন করে রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে ফোন করার অভিযোগে গ্রেফতার হন রূপান্তরিত এক মহিলা। পুলিশি হেফাজতে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী সৌমশ্রী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কব্জির শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অভিযুক্ত। তিনি এইচআইভি পজ়িটিভ-ও।’’
শেক্সপিয়র সরণি থানার এই মামলায় সম্প্রতি দিল্লি থেকে ওই মহিলা এবং অভিষেক চৌধুরীকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। তাঁরা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির পান্ডুয়া থেকে পুলিশ অরিন্দম ঘোষ নামে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এ দিন তিন জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ওই মহিলার চিকিৎসার জন্য সৌমশ্রী জামিনের আর্জি জানান। অভিষেক এবং অরিন্দমেরও জামিনের আর্জি জানানো হয়। যার বিরোধিতা করে মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই অপরাধের জন্য সফটওয়্যার সরবরাহ করেছেন অরিন্দম। এই অপরাধে আরও অনেকে জড়িত। আদালত তিন জনকে ২৬ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। অভিজিৎ জানান, অভিযুক্ত মহিলার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের যে আবেদন জানানো হয়েছিল, আদালত তা মঞ্জুর করেছে।
এ দিন সৌমশ্রী পরে বলেন, ‘‘ওই মহিলা মানসিক অবসাদের শিকার। আত্মহত্যার প্রবণতাও রয়েছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার অপমান থেকেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।’’