লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
শহরে গুন্ডামির একের পর এক ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। কোথাও অভিযোগ স্থানীয় পুরপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে, কোথাও অভিযুক্ত কোনও দুষ্কৃতী। ঘটেছে গুলি চালানোর ঘটনাও। এ বার তাই শহরের কোনও এলাকায় এই ধরনের গুন্ডামির ঘটনা পুলিশের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি লালবাজারের শীর্ষ কর্তাদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় থানার ওসিদের।
মঙ্গলবার এই মর্মে বার্তা দেওয়া হয়েছে থানার ওসি থেকে শুরু করে ডিভিশনাল উপ-নগরপালদের। তাতে বলা হয়েছে, ঘটনা নজরে আসার পরেই সেখানে কী ঘটেছে এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা যেন অবিলম্বে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের জানানো হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকদেরও বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে থানার ওসিদের। যাতে প্রয়োজন পড়লে দ্রুত অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে পারে গুন্ডা দমন শাখা।
সূত্রের খবর, শহরে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গুন্ডামি বা গোলমালের ঘটনার কথা লালবাজারের কর্তারা পরে জানতে পেরেছেন। এমনকি, গুন্ডা দমন শাখাকে তা জানানোই হয়নি বলে অভিযোগ। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘গোলমালের খবর শীর্ষ কর্তাদের কানে যথাসময়ে পৌঁছলে সেই ঘটনার তদন্তের উপরে নজরদারি চালানো সম্ভব হয়। এমনকি, প্রয়োজনে শীর্ষ কর্তারা তদন্তের কাজে তদারকিও করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যবস্থা
গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। তাই মনে করা হচ্ছে, শহরের কোথাও কোনও গোলমাল যাতে বড় আকার ধারণ না করে, তার জন্যই শীর্ষ কর্তাদের সব জানাতে
বলা হয়েছে।
শহরের বুকে গুন্ডাদের দৌরাত্ম্য কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে বাহিনীকে আগেই সতর্ক করেছিলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। মনে করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই বাহিনীকে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে, যাতে কোথাও গুন্ডামির অভিযোগ উঠলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এক পুলিশকর্তা জানান, নগরপাল চান না, শহরের বুকে গুন্ডামি করে কেউ পার পেয়ে যাক। তাই তিনি আগে থেকেই বাহিনীকে সক্রিয় থাকার জন্য বার বার বলছেন।