প্রতীকী ছবি।
কোথাও পণের জন্য মেয়েদের উপরে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার হয়। আবার কোথাও চাকরি করার জন্য চাপ দেওয়া হয় ‘রেকারিং পণ’-এর জন্য। এককালীন টাকার বদলে এ ক্ষেত্রে টাকাটা মাসে মাসে পাওয়া যাবে! ধরে নেওয়া হয় মেয়েটি চাকরি করবেন এবং পুরো টাকাটা শ্বশুরবাড়িতে দেবেন। এ যেন রাজকন্যা ও অর্ধেক রাজত্ব দাবি করার মতো অবস্থা।
এখন বহু মেয়েই চাকরি করেন, কিন্তু তার হাত ধরে যে স্বাধীনতা তাঁদের পাওয়ার কথা ছিল, সেটা পান না। এমনকী, ক’জনের ব্যাঙ্কে সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা-ও হাতে গুণে বলা যায়। অনেক আলোচনাসভায় যাঁদের সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট আছে তাঁদের হাত তুলতে বলেছি। মাথা নিচু করে ফেলেন অনেকে। যে ক’টা হাত ওঠে, তা দেখে খুব খারাপ লাগে। বেশির ভাগ মেয়েরই মাইনের টাকা জমা পড়ে স্বামীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে। তিনি যা উপার্জন করেন, তার পুরোটার হিসেব থাকে। খরচ হয় শ্বশুরবাড়ির জন্য। নিজের জন্য বা বাপের বাড়ির জন্য খরচ করার স্বাধীনতা থাকে না অনেকেরই। এক সময়ে আমাদের ডিএ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না দিয়ে হাতে দেওয়া হতো। অনেককে সেই টাকাটা থেকে নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করতে দেখেছি। হয়তো মায়ের জন্য কিছু কিনলেন তা থেকে। এ দিকে, মেয়েরা চাকরি করলেও তাঁর জন্য বরাদ্দ থাকে সংসারের কিছু কাজ। নিদেন পক্ষে রবিবার বিশেষ কিছু রান্না করা। যিনি করবেন না, তাঁকে স্বার্থপর বলে গঞ্জনা শুনতে হবে। মেয়েরাও অনেকে এ ভাবে শান্তি কিনতে চান। এ ভাবেই তো তাঁদের ছোট থেকে শেখানো হয়েছে।
(লেখিকা নারী আন্দোলনের কর্মী)