National Library

The National Library: গবেষণার জন্য আজ খুলছে জাতীয় গ্রন্থাগার

সব বিভাগেই কত জন একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করতে পারবেন, তার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৪
Share:

ফাইল চিত্র।

আজ, বুধবার থেকে গবেষণার কাজে আসা পড়ুয়াদের জন্য খুলছে জাতীয় গ্রন্থাগারের দরজা। মঙ্গলবার গ্রন্থাগারের ডিরেক্টর অজয়প্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘এখনই সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য জাতীয় গ্রন্থাগার খুলছে না। শিশুদের বিভাগও বন্ধ থাকবে। যে সব গবেষকেরা এখানে পড়তে আসতে চান, তাঁদের এক দিন আগে গ্রন্থাগারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আসন বুক করতে হবে। আসন বুক করলে তবেই পড়ার সুযোগ মিলবে।’’

Advertisement

অজয়বাবু জানান, সব বিভাগেই কত জন একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করতে পারবেন, তার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সবাই একই সময়ে চলে এলে করোনা-বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে। তাই আগে থেকে আসন বুক করে আসতে হবে। গ্রন্থাগার খোলা-বন্ধের সময়ে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানান অজয়বাবু।

তবে সবার জন্যই জাতীয় গ্রন্থাগার না খুলে শুধু গবেষকদের জন্য কেন খোলা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সেখানে নিয়মিত পড়তে যাওয়া কিছু পড়ুয়া। তাঁদেরই এক জন, শৈবাল চক্রবর্তী নামে এক ছাত্র বলেন, ‘‘গবেষকদের থেকে অনেক বেশি সাধারণ পড়ুয়া গ্রন্থাগার ব্যবহার করতেন। তাঁদের ঢোকার অনুমতি কেন দেওয়া হবে না? করোনা-বিধি মেনে অন্যান্য জায়গায় যেমন ৫০ শতাংশ উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, জাতীয় গ্রন্থাগারেও তেমনই ব্যবস্থা করা হোক।’’ পাঠকদের একাংশের দাবি, শহরের অন্যান্য বড় গ্রন্থাগারগুলিতে এই ভাবে শুধু গবেষকদের জন্য দরজা খোলা হয়নি। সেখানে করোনা-বিধি মেনে সাধারণ পাঠকেরাও যেতে পারছেন। যদিও অজয়বাবুর দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে গ্রন্থাগার খোলার নির্দেশিকা মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

অজয়বাবু আরও জানান, এত দিন ১৪টি ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করা যেত জাতীয় গ্রন্থাগারে। খুব শীঘ্রই এর সঙ্গে মণিপুরী, নেপালি-সহ আরও আটটি ভাষায় পড়াশোনা করা যাবে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘এই আটটি ভাষার বিভাগ খোলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে কিছু কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। মাসখানেকের মধ্যে এই আটটি ভাষার বিভাগ খুলে যাবে বলে আশা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement