ফাইল চিত্র
শহরে জল জমার সমস্যা দূর করতে এ বার আইআইটি খড়্গপুরের দ্বারস্থ হল কলকাতা পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা সমস্যার সব দিক খতিয়ে দেখার পরে একটি রিপোর্ট দেবেন। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই শহরের সেই সমস্ত এলাকায় কাজ শুরু হবে, যেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায়।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা নিকাশি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, ‘‘মধ্য ও উত্তর কলকাতার একাংশে অল্প বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায়। প্রযুক্তিগত কিছু অসুবিধার কারণে সেই জল দ্রুত বার করতে সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণেই আইআইটি-র মতো একটি প্রথম সারির সংস্থার সাহায্য নিয়ে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা হবে। ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা দ্রুত কাজ শুরু করবেন।’’
পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টিতে জল জমা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু উত্তর ও মধ্য কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় মাঝারি বৃষ্টিতেও জল দাঁড়িয়ে যায়। পুর কর্তৃপক্ষ এমনই কয়েকটি রাস্তাকে চিহ্নিত করেছেন। সেগুলি হল: মধ্য কলকাতার মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, তারক প্রামাণিক স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোড এবং ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। নিকাশি দফতরের আধিকারিকদের দাবি, চলতি বর্ষার মরসুমে শহরের বহু জায়গায় ভারী বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু অধিকাংশ এলাকাতেই সেই জল দ্রুত নেমে গিয়েছে। কিন্তু উত্তর ও মধ্য কলকাতার বেশ কিছু এলাকা ব্যতিক্রম।
জল জমার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এমনিতেই ওই সমস্ত জায়গা আশপাশের এলাকার তুলনায় নিচু। সেই কারণেই বামফ্রন্ট আমলে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছে বৃষ্টির জল বার করার জন্য একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছিল। মুক্তারামবাবু স্ট্রিটেও জল যাতে দ্রুত বেরোয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ওই দু’টি এলাকার নিকাশি নালায় মাত্র তিন ফুট ব্যাসের পাইপ রয়েছে। কারণ, নিকাশি নালার পাশেই রয়েছে পানীয় জলের লাইন। ফলে নিকাশির পাইপলাইনের জন্য পরিসর অনেকটাই কম। কখনও প্রয়োজন হলে কী ভাবে একটি লাইনকে অক্ষত রেখে অন্য লাইন সরানো হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেননি পুর কর্তৃপক্ষ।
তারকবাবু জানান, এ নিয়ে পুরসভার নিকাশি এবং জল দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে ফের আলোচনা হয়েছে, যাতে চলতি বর্ষায় কিছুটা সুরাহা মেলে। তবে আইআইটি-র রিপোর্ট পেলে সেটিকেই অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।