শিয়ালদহ স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিনের বাধা কাটিয়ে অবশেষে শিয়ালদহ স্টেশনের এক থেকে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কাজ শুরু হল। রবিবার থেকে পুরনো প্ল্যাটফর্মের একাংশ ভেঙে ওই কাজ শুরু হয়েছে। তা চলবে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত না করেই ওই কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল।
রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদহ উত্তর এবং মেন শাখায় চলা মোট ট্রেনের প্রায় অর্ধেক নয় কামরাবিশিষ্ট। সে কারণে শিয়ালদহ-সহ একাধিক স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ১২ কামরার ট্রেন দাঁড়ানোর উপযুক্তই নয়। তাই বাধ্য হয়ে এত দিন ন’কামরার ট্রেন চালানো হলেও ভিড়ের সময়ে যাত্রী সঙ্কুলান করা কঠিন হত। সেই সমস্যা মেটাতেই এ বার শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম আরও দীর্ঘ করা হচ্ছে। এত দিন শিয়ালদহের ডিআরএম ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় প্ল্যাটফর্ম বাড়ানোর কাজও থমকে ছিল। এ বার ওই ভবনের সামনের দিকের কিছুটা অংশ ভাঙার পাশাপাশি, মূল শিয়ালদহ স্টেশনের বাফার প্রান্তের ১০ মিটার অংশ ভেঙে অতিরিক্ত পরিসর বার করা হচ্ছে। পরে ডিআরএম ভবনের দিকে প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ করে বাকি পরিসর তৈরি করা হবে।
রেল সূত্রের খবর, শুরুতে বাফার প্রান্ত ভাঙা হওয়ায় দৈনিক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা নেই। তবে এত দিন যাত্রীদের বড় অংশ ওই বাফার প্রান্তের প্রশস্ত চাতালে অপেক্ষা করতেন। এ বার সেখানে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সাবধানে যাতায়াত করতে হবে।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় মোট ১৩৪ জোড়া ট্রেনের মধ্যে ১৩২ জোড়া রেক ১২ কামরার হওয়ায় সেখানে সমস্যা তুলনামূলক ভাবে কম। কিন্তু উত্তর শাখায় ১৮৬টি আপ ট্রেনের মধ্যে মাত্র ৮৮টি এবং ১৮৮টি ডাউন ট্রেনের মধ্যে ৮৮টি ১২ কামরার। অফিসের ব্যস্ত সময়ে ১২ কামরার ট্রেন চললেও তাদের মূলত ৫ থেকে ১১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকাতে হয়। ফলে পরিচালনগত সীমাবদ্ধতাও থাকে। রেল সূত্রের খবর, ওই কাজের জন্য রেলের ইয়ার্ড এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থার সংস্কারও করতে হবে। ফলে কাজের সময়সীমা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রেলের আধিকারিকেরা।