CNG Gas

জ্বালানি-খরচ সাশ্রয়ে সিএনজি চালিত বাস নামানোর ভাবনা

বেসরকারি বাসমালিকদের পাশাপাশি ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সমস্যায় ফেলেছে সরকারি পরিবহণ নিগমকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ০৫:৫০
Share:

ফাইল চিত্র

বেসরকারি বাসমালিকদের পাশাপাশি ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সমস্যায় ফেলেছে সরকারি পরিবহণ নিগমকেও। জ্বালানির বর্ধিত খরচ মিটিয়ে বাস পরিষেবা সচল রাখা নিয়ে উদ্বেগে রাজ্য সরকারও। সমস্যার মোকাবিলায় এ বার সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস)-কে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে তারা। সেই কারণে সরকারি বাসের পাশাপাশি সিএনজি চালিত বেসরকারি বাস নামানোরও পরিকল্পনা করছে পরিবহণ দফতর। এই লক্ষ্যে সোমবার কসবায় পরিবহণ ভবনে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করল রাজ্য পরিবহণ নিগম। চুক্তি অনুযায়ী, কসবা ছাড়াও রাজ্য পরিবহণ নিগমের হাওড়া, সল্টলেক, ঠাকুরপুকুর, নীলগঞ্জ, বেলঘরিয়া, সাঁতরাগাছি এবং করুণাময়ী ডিপোয় সিএনজি রিফিলিং স্টেশন তৈরি করবে ওই সংস্থা।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই চুক্তি হয়েছে। ওই স্টেশনগুলিতে প্রতি ঘণ্টায় ১৫টি বাসে জ্বালানি ভরা যাবে। এ দিন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে রাজ্য পরিবহণ নিগমের পক্ষে রাজনবীর সিংহ কপূর এবং বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি

লিমিটেডের পক্ষে সত্যব্রত বৈরাগী ওই চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব রাজেশ সিংহ। পরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে প্রথম সিএনজি স্টেশনটি তৈরি হয়ে যাবে। এর ফলে বাসের জ্বালানি বাবদ খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণও কমবে।’’

Advertisement

বৃহত্তর কলকাতায় সিএনজি সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি রাজ্য পরিবহণ নিগমের ডিপোয় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে খবর। জ্বালানির খরচ কমাতে সরকারি পরিবহণ নিগমগুলির অধীনে থাকা ডিজ়েলচালিত বাসগুলিকে কী ভাবে সিএনজি-তে পরিবর্তিত করা যায়, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে এ দিন জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। আগামী দিনে কলকাতায় ইলেকট্রিক বাসের পাশাপাশি সিএনজি চালিত বাসকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, সরকারি বাস ডিপোয় থাকা রিফিলিং স্টেশনগুলি বেসরকারি বাসের ব্যবহারের জন্যও খুলে দিতে চায় পরিবহণ দফতর।

এ দিন ওই কর্মসূচির পরে বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ। ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’, ‘বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’, ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এবং ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাসের সমস্যা মেটানো নিয়ে মন্ত্রী আলোচনা করেন। বেসরকারি বাসকে সিএনজি-তে পরিবর্তন করা নিয়েও বাসমালিক সংগঠনগুলির মত জানতে চান তিনি। সূত্রের খবর, আগামী দিনে বেসরকারি উদ্যোগে ইলেকট্রিক বাস নামানো যায় কি না, তা-ও বিবেচনা করে দেখছে রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement