প্রতীকী ছবি
মশা মারতে কামান দাগার কথা সকলের জানা। সেই পর্ব উত্তীর্ণ। স্বাস্থ্য দফতর এ বার মশা মারতে ড্রোন দাগার সিদ্ধান্ত নিয়েছে! সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মশার লার্ভা মারতে ড্রোন থেকে কীটনাশক ছড়াতে চলেছে তারা। এর জন্য আইওটি প্ল্যাটফর্ম-সহ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর সাহায্য নেওয়া হবে। উদ্দেশ্য, মশার লার্ভার পাখা গজানোর আগেই ড্রোনের পাখা থেকে কীটনাশক ছড়িয়ে মশাবাহিনীকে মেরে ফেলা।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, দরপত্র চেয়ে সংস্থা বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতায় বেশ কিছু এলাকা আছে, বিশেষত জলাশয়, খাল-বিল, নালা— যেখানে কামান নিয়ে পৌঁছনো যায় না। তাই কামান দেগে বা তেল ছড়িয়ে লাভ হয় না। সেই কারণেই ড্রোনের সাহায্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় রাসায়নিক তরল ছড়িয়ে দেওয়া হবে। কোথায় লার্ভা রয়েছে, তা ড্রোন উড়িয়ে প্রথমে দেখা হবে। সে জন্য এআই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ড্রোনের সহায়তায় লার্ভার প্রজননকেন্দ্র চিহ্নিত করা হবে। পরের ধাপে সেখানে ড্রোনের সাহায্যে ছড়ানো হবে কীটনাশক।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, দেশের কয়েকটি স্থানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাল ফল মিলেছে। আপাতত দু’বছরের জন্য এই কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে। আশাব্যঞ্জক ফল মিললে তা চালিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এবং ফাইলেরিয়ার জীবাণুনাশের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রোগের প্রকোপ অনুযায়ী, রাজ্যের কোন অঞ্চলে কী ধরনের মশার সংক্রমণ হয় তা স্বাস্থ্য দফতরের জানা। সেই এলাকাগুলিতে ড্রোন ব্যবহার করে প্রথমে লার্ভার প্রজননকেন্দ্র দেখে রাসায়নিক ছড়ানো হবে। কলকাতা পুর এলাকার খাল, নিকাশি নালা, বিধাননগরের আশপাশের খাল ও ভেড়ি, নিউ টাউন এবং আশপাশের পুর এলাকাগুলিতেই মূলত ড্রোন ব্যবহার করতে চায় স্বাস্থ্য দফতর।