কলকাতা মেট্রো স্টেশনে খাবারের স্টল পরীক্ষা করে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে এফএসএসএআইয়ের তরফে। —ফাইল চিত্র।
ট্রেনের সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার চিরকালীন সম্পর্ক। ছোট্ট কামরায় হাঁটাচলার উপায় না পেয়েই বোধ হয় মুখ চালান রেলযাত্রীরা। সেই সূত্র ধরেই রেলস্টেশন চত্বরেও খাবারের স্টল দেখলে খিদে চাগাড় দেয়। খাবারের পসার সাজানো দোকানপাট চুম্বকের মতো টানে। কিন্তু স্টেশন চত্বরে পাওয়া সেই সব খাবার কি স্বাস্থ্যসম্মত? যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে এই খাবার পরীক্ষা করার একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)। সেই মানদণ্ডেই দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহকারী রেলস্টেশনের মর্যাদা পেল কলকাতার এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।
এফএসএসএআইয়ের তরফে ‘ইট রাইট স্টেশন’ সম্মান দেওয়া হয়েছে এসপ্ল্যানেডকে। সাধারণত গুণমানে উঁচু দরের, নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার সরবরাহকারী স্টেশনকেই এই সম্মান দেওয়া হয়। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের খাবার বিক্রেতারা সেই সমস্ত পরীক্ষায় ‘ভাল’ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন।
এই সম্মান পাওয়া দেশের দ্বিতীয় মেট্রো স্টেশন এসপ্ল্যানেড। এর আগে নয়ডা সেক্টর ৫১ মেট্রো স্টেশন এই সম্মান পেয়েছিল। তবে গোটা দেশে ‘ইট রাইট’ সম্মান পাওয়া ২৬তম রেলস্টেশন এসপ্ল্যানেড। আর পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুরের পর এই সম্মান পেল এসপ্ল্যানেড মেট্রো।
সাধারণত কোন স্টেশনকে এই সম্মান দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করে এফএসএসএআই নিযুক্ত থার্ড পার্টি অডিট এজেন্সি। তারাই বিভিন্ন রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের সমস্ত খাবারের দোকান, তার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি, জল সরবরাহ-সহ বিভিন্ন বিষয় দেখে এই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শংসাপত্রটি ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধ।
এই শংসাপত্র প্রসঙ্গে মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি বলেন, ‘‘যাত্রীদের প্রতি মেট্রো রেলের দায়বদ্ধতার প্রমাণ দেয় এই সম্মান। আশা করছি, আগামী দিনে আমরা এমন আরও সম্মান লাভ করতে পারব।’’ অন্য দিকে, রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এই সম্মানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভা এবং পূর্ব রেলওয়েকে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া এই সম্মান পাওয়া সম্ভব হত না।