ফাইল ছবি।
পুরভোটে নজরদারির জন্য ‘নিরপেক্ষ’ আইএএস অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই মতো রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটে আইএএস ক্যাডারের ১০ জন অভিজ্ঞ অফিসারকে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার কমিশন জানিয়েছে, রবিবার ২০টি জেলার ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ রয়েছে। এই ভোট সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য ১৭ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় পুলিশ, সাধারণ এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকদের উপরও নজরদারি করা হবে। এই কাজে থাকবেন বিশেষ ১০ জন আইএএস অফিসার। তাঁরা প্রত্যেকেই ভোটের ব্যাপারে অভিজ্ঞ। এবং বিগত কয়েকটি ভোট নির্বিঘ্নে করার ক্ষেত্রে তাঁদের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। এক জন করে অফিসার দায়িত্বে থাকবেন বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। অন্য ক্ষেত্রে এক জন অফিসারই দুই বা ততোধিক জেলার ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।
আসন্ন পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে উচ্চ আদলতে যায় বিজেপি। কিন্তু আদালত ওই সিদ্ধান্ত কমিশনের উপরই ছেড়ে দেয়। কিন্তু কোনও অশান্তি হলে তার দায় তাদেরকেই নিতে হবে বলে রায়ে স্পষ্ট করে জানায় হাই কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টও ওই রায়ই বহাল রাখে। এ নিয়ে কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য, ডব্লিউবিসিএস, আইপিএস এবং আইএএস অফিসারদের পুরভোটে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আদালতের রায়ের পর পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হয়েছে। এখন এতগুলি পুরসভায় শান্তিতে ভোট করানো আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই বিশেষ পর্যবেক্ষককের উপরও বাড়তি অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
ভোটের দিন বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যাও। কমিশন জানিয়েছে, ১০৮টি পুরসভার মোট ২,২৭৬টি বুথের জন্য প্রথমে ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পর আরও ৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি থাকবে ইএফআর, এসটিএফ, কম্যান্ডো ও র্যাফ। এ ছাড়া সব বুথে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ফলে সব মিলিয়ে পুরো ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা হিসাবেই দেখছে কমিশন। অন্য দিকে, সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হলেও এই ভোটে কমিশন বীরভূম, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের উপর বাড়তি নজর দিচ্ছে কমিশন। পুলিশ, প্রশাসনকে বলা হয়েছে, কোনও রকম অশান্তি, গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতে হবে।