Belgharia Expressway

খানাখন্দে ভরা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে যেন বিপদ-সরণি

নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, এমনিতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের অবস্থা সর্বত্র এতটা খারাপ নয়। ওই এক্সপ্রেসওয়ের অন্যান্য অংশে মসৃণ রাস্তার মাঝেই এক-এক জায়গায় খানাখন্দ থাকায় তা দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ০১:৪৯
Share:

খন্দপথ: বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কিছু অংশের। বুধবার। ছবি: সুমন বল্লভ

কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কিছু অংশ পরিণত হয়েছে ছোটখাটো ডোবায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, খালাসিকোটা থেকে যশোর রোড পর্যন্ত যে অংশটি রয়েছে, সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়ে মনে হয়, গ্রামের ভাঙাচোরা, মেঠো রাস্তাকেও হার মানাবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। গর্তে চাকা পড়ে গাড়ি খারাপ হওয়া থেকে শুরু করে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে সেখানে।

Advertisement

নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, এমনিতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের অবস্থা সর্বত্র এতটা খারাপ নয়। ওই এক্সপ্রেসওয়ের অন্যান্য অংশে মসৃণ রাস্তার মাঝেই এক-এক জায়গায় খানাখন্দ থাকায় তা দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বর্ষার আগে কিছু খানাখন্দ সারাই হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার যে কে সে-ই।

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে যে আন্ডারপাস রয়েছে, সেই রাস্তার হাল অনেক দিন ধরেই খুব খারাপ। মাঝেমধ্যে জোড়াতাপ্পি দিয়ে সারানো হলেও কয়েক দিনেই ফের বড় বড় গর্ত হয়ে যায়। আন্ডারপাসে আলো কম থাকায় খুবই অসুবিধা হয় গাড়ির চালকদের। বুধবার ওই আন্ডারপাসে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে বড় বড় গর্তে জল জমে আছে। গাড়িচালকদের অভিযোগ, ওই জমা জলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

Advertisement

তবে সব চেয়ে বেহাল দশা খালাসিকোটা থেকে যশোর রোড পর্যন্ত অংশের। ওই অংশেই রয়েছে অনেকগুলি আবাসন। তেমনই একটি আবাসনের বাসিন্দা সমীরবরণ সাহা বললেন, ‘‘মূল রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, গাড়িগুলো সেখান দিয়ে যেতে না-পেরে সার্ভিস রোডে উঠে পড়ছে। বড় বড় ভারী গাড়ি, বিশেষ করে ট্রাকগুলি সার্ভিস রোড দিয়ে যাওয়ায় সেই রাস্তাও ভেঙে যাচ্ছে। তা ছাড়া, সার্ভিস রোড তুলনায় সঙ্কীর্ণ হওয়ায় সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।’’ সমীরবরণবাবুর অভিযোগ, প্রতি বর্ষাতেই এ রকম ভোগান্তি হয়। এ বার বর্ষার মাঝামাঝিই রাস্তার যা হাল, তাতে এখনই সারানো দরকার।

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি’র প্রোজেক্ট ডিরেক্টর স্বপনকুমার মল্লিকের বক্তব্য, ‘‘বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের অনেকটা অংশই মেরামত করে মসৃণ করে দেওয়া হয়েছে। এক-দু’দিনের মধ্যে বাকি অংশগুলিও সারানো হবে। লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির জন্য কাজ একটু পিছিয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘খালাসিকোটা থেকে যশোর রোড পর্যন্ত অংশটির স্থায়ী মেরামতির জন্য রাস্তার পাশে থাকা নিকাশি নালারও সংস্কার করা দরকার। এ বার রাস্তার সঙ্গে ওই নিকাশি নালাও ঠিক করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement