চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে দমদম রোডের কালভার্ট। তবে, ওই নির্দিষ্ট সময়ে সেখান দিয়ে শুধুমাত্র অটো, টোটো-সহ ছোট গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। বুধবার দমদম রোডে ওই কালভার্ট সংস্কারের কাজ পরিদর্শনের পরে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। এ দিন কেএমডিএ, পূর্ত দফতর, পুরসভা এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে যান।
পুরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরী চৌধুরী জানান, শুধুমাত্র পরীক্ষার দিনগুলিতে সকালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই কালভার্ট খুলে দেওয়া হবে। তবে, বাস-সহ কোনও ভারী গাড়ি সেখান দিয়ে যাতায়াত করবে না।
২০২১ সালের ১৮ অগস্ট দমদম স্টেশন এবং নাগেরবাজারের মধ্যে বাগজোলা খালের উপরে ওই কালভার্টে বড় গর্ত দেখা দেয়। পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরে ওই রাস্তায় বাস-সহ ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে খালের আগে জিটিআর থেকে দমদম স্টেশন হয়ে কলকাতার দিকে কিছু বাস চলাচল শুরু হয়। রাস্তা সম্প্রসারণ ও মেরামতি নিয়েও একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে কালভার্টটি খুলে দেওয়া হবে। তবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক এবং পরে উচ্চ মাধ্যমিকের কথা ভেবে ওই কয়েক দিন কালভার্ট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই সংস্কার প্রকল্প নিয়ে স্থানীয়দের একাংশের কথায়, ‘‘টালা সেতুর মতো বড় প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করে সেখানে ইতিমধ্যেই যান চলাচল শুরু হয়েছে। অথচ, প্রায় তিন বছর হতে চললেও কালভার্টের কাজ শেষ হল না। পুরনো কালভার্ট ভেঙে ফেলার পরে খালের দু’দিক দিয়ে অটো, টোটো, রিকশা নাগেরবাজার এবং দমদম স্টেশনের দিকে যাতায়াত করছে। গাড়িগুলি কালভার্ট এড়িয়ে মূল সড়ক থেকে ওয়ার্ড এলাকার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছে। এর জেরে অর্থ এবং সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে।’’
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘দরপত্র প্রক্রিয়া ও কারিগরি দিক-সহ নানা জটিলতায় কাজ শুরু করতে সময় লেগেছে। তবে বর্তমানে কাজ প্রায় শেষ। আপাতত পরীক্ষার দিনগুলিতে কালভার্ট খোলা হবে। বাকি কাজ শেষ করে দ্রুত যান চলাচলের জন্য কালভার্ট খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’