প্রত্যাবর্তন: প্রায় দেড় মাস পরে ফের খুলল কফি হাউসের দরজা। তার আগে ভিতরে চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। বুধবার, কলেজ স্ট্রিটে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
প্রায় দেড় মাস পরে, বুধবার বিকেল ৫টায় আবার দরজা খুলল কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের। খোলার আগে কফি হাউসের ভিতরে এবং বাইরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। দরজা ফের খুললেও আড্ডার সময় কমে হচ্ছে মাত্র তিন ঘণ্টা। তবে বাস, ট্যাক্সি, ট্রেন বন্ধ থাকায় সেখানে কী ভাবে পৌঁছনো যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রশাসনিক কড়াকড়ির মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে হোটেল-রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কফি হাউস প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য খুললেও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানকার ব্যালকনি। টেবিলের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। কাঁটছাঁট করা হয়েছে খাবারের তালিকায়। এ ছাড়া, একটি টেবিলে চার জনের বেশি বসতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রথম দিন অতিথিদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও তাঁদের জীবাণুমুক্ত করতে এক জন কর্মী সর্বক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে ভিড় একেবারেই ছিল না। এসেছিলেন হাতে গোনা কয়েক জন।
বিধি মানার পাশাপাশি এ দিন ধরা পড়েছে নিয়ম ভাঙার ছবিও। বেশ কয়েক জন ভিতরে ঢুকে খাওয়ার সময় বাদেও মাস্ক খুলেই দীর্ঘ ক্ষণ বসে ছিলেন। অতিথিদের এক জন, শিয়ালদহের বাসিন্দা অমিয় পাত্র বললেন, ‘‘আমাদের প্রত্যেকের সুরক্ষার দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। বিধি মানার ক্ষেত্রে ওঁরা গা-ছাড়া মনোভাব দেখালে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে।’’
‘ইন্ডিয়ান কফি হাউস ওয়ার্কার্স কোঅপারেটিভ লিমিটেড’-এর সম্পাদক তপন পাহাড়ি বলেন, ‘‘আপাতত কর্মীদের সবাইকে আনা হচ্ছে না। পালা করে আসতে বলা হয়েছে। অতিথিদের প্রত্যেককে দূরত্ব-বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে বাস-ট্রেন না চলায় মানুষ কী ভাবে কফি হাউসে আসবেন, তা নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।’’ তপনবাবু বলেন, ‘‘আমাদের যে সব কর্মী প্রতিষেধক নিয়েছেন, শুধু তাঁদেরই এখন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাকি কর্মীদের জন্য প্রতিষেধকের আবেদন করেছি। শীঘ্রই তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে।’’