শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে আসে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। তারা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছে। রাত হয়ে যাওয়ায় তারাও উদ্ধার করতে পারেনি। কুড়কুড়ের রাতের খাবারের জন্য প্লাস্টিকে করে ভাত ও মাছ পাঠানো হয় বাড়িটিতে।
উদ্ধার করা হচ্ছে বিড়ালটিকে। নিজস্ব চিত্র।
বন্ধ বাড়িতে আটকে পড়েছিল ‘কুড়কুড়ে’। মালকিনের ডাক শুনে সাড়া দিলেও, বেরিয়ে আসতে পারেনি। রাত কেটেছে ওই বন্ধ বাড়িতেই। অবশেষে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সাহায্যে ২৪ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হল। আদরের পোষ্যকে পেয়ে খুশি বাড়ির সবাই। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি পশুপ্রেমীরাও।
রবীন্দ্র সরোবর এলাকার ৩৩ অশ্বিনী দত্ত রোডের বাসিন্দা রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতে দু’টি বিড়াল পোষেন। তার মধ্যে একটির বয়স ৬ মাস। যার পোষাকি নাম কুড়কুড়ে। শনিবার সকালে আচমকা সে নিখোঁজ হয়ে যায়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে বিড়ালটির আওয়াজ শোনা যায় পাশের একটি পরিত্যক্ত তিনতলা বাড়ি থেকে। বাড়িটি কয়েক বছর বন্ধ রয়েছে। রূপালি বলেন, ‘‘কুড়কুড়ে বাগান পেরিয়ে ওই বাড়িতে ঢুকে যায়। আমরা জানতে পেরে অনেক ডাকাডাকি করি। সে সাড়া দিলেও বেরিয়ে আসতে পারেনি। তার পর থানায় খবর দিই।’’
শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে আসে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। তারা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছে। রাত হয়ে যাওয়ায় তারাও উদ্ধার করতে পারেনি। কুড়কুড়ের রাতের খাবারের জন্য প্লাস্টিকে করে ভাত ও মাছ পাঠানো হয় বাড়িটিতে। রবিবার সকালে ফের সেখানে যায় বিপর্যয় দল। কিন্তু অচেনা মানুষজন দেখে বেরিয়ে আসার সাহস পায়নি কুড়কুড়ে। উপায় না দেখে পাঁচিল টপকে ওই বাড়িটিতে ঢোকেন রূপালি। তিনি নাম ধরে ডাকতেই বেরিয়ে আসে কুড়কুড়ে। তার পর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
রূপালি বলেন, ‘‘অনেক চেষ্টার পর ওকে আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। এই কাজে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল সাহায্য করেছে। তাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই।’’ পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাজে খুশি পশুপ্রেমীরাও। এক পশুপ্রেমীর বক্তব্য, ‘‘এই সব ঘটনায় পুলিশ অনেক সময় এগিয়ে আসে না! এই ঘটনায় তাদের তৎপরতা প্রশংসনীয়।’’