Death

নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ মিলল পাড়ার পুকুরে

বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার বাকসাড়ায় একটি মাঠের কাছে পুকুর থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ০২:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক বন্ধুর ফোন পেয়ে গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। পরদিন সকালে পাশের পাড়ার পুকুর থেকে উদ্ধার হল তার মৃতদেহ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার বাকসাড়ায় একটি মাঠের কাছে পুকুর থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম প্রিয়শ্রী ঘোষ (১৬)। আগামী বছর তার মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। এ দিন সকালে পুকুরে দেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রিয়শ্রীদের বাড়ি বাকসাড়ার পালপাড়ায়। বাবা অশোক ঘোষ পেশায় দর্জি। মা রূপা গৃহবধূ। প্রিয়শ্রী বাড়ির ছোট মেয়ে। তার দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মা-বাবা এবং আত্মীয়দের অভিযোগ, বুধবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ পাড়ারই এক যুবক ফোন করে ডাকে প্রিয়শ্রীকে। এর পরেই কাউকে না জানিয়ে বেরিয়ে যায় সে।

Advertisement

অশোকবাবু এ দিন বলেন, ‘‘বুধবার রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়ার পরে মেয়ে দোতলার ঘরে শুতে চলে যায়। আমরাও শুয়ে পড়ি।’’ মা রূপা বলেন, ‘‘রাতে মেয়ের এক বন্ধু ফোন করেছিল। দোতলার ঘর থেকে এসে আমাকে তা জানায়। কিন্তু মেয়ে যে অত রাতে বেরিয়ে যাবে, বুঝতে পারিনি।’’

পুলিশ জানায়, ফোনের কথা ওই কিশোরী বাবাকে না-বললেও রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অশোকবাবু দেখেন, বাড়ির একতলায় শৌচাগারের পাশে বাইরে যাওয়ার দরজাটি খোলা। প্রিয়শ্রীর জুতোও নেই। অথচ, বাড়ির সদর দরজা তালাবন্ধ রয়েছে। রাতেই মেয়ের খোঁজ শুরু করেন দম্পতি। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। মোবাইলে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। সারা রাত জেগে থাকার পরে এ দিন সকালে প্রিয়শ্রীর বন্ধুদের কাছে খোঁজ করতে যান অশোকবাবুরা। কিন্তু তারাও কিছু জানাতে পারেনি। এর কিছু ক্ষণ পরেই ওই দম্পতির কাছে খবর আসে, পাশের পাড়ায় একটি মাঠের পাশে পুকুরে প্রিয়শ্রীর মৃতদেহ ভেসে উঠেছে।

মৃতার জামাইবাবু প্রীতম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমার শ্যালিকা ভাল সাঁতার জানত। কোনও ভাবেই ও পুকুরে ডুবে যেতে পারে না। কী ভাবে ওর মৃত্যু হল, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’ প্রীতমের অভিযোগ, ইদানীং কুসঙ্গে পড়েছিল তাঁর শ্যালিকা। বন্ধুরাই এর পিছনে জড়িত কি না, তা দেখা দরকার বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন।

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুন না কি আত্মহত্যা, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই কিশোরীর যে বন্ধুদের নাম উঠে আসছে, প্রয়োজনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement