— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জেলার প্রান্তিক অঞ্চলের বাড়িতেও প্রয়োজনে গত দু’বছরে মিলেছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। উপকৃত হয়েছেন প্রায় ১০০০ জন রোগী। সেই কাজ দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকেরা। রবিবার লিভার ফাউন্ডেশনের ১৮তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে উঠে এল সেই কথা।
ভারতীয় জাদুঘরের সভাগৃহে আয়েজিত অনুষ্ঠানে সোনারপুরের ওই ফাউন্ডেশনের সম্পাদক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁদের সংস্থা পথ চলার শুরুর সময় থেকেই গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদের নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে ওই পরিষেবকেরা অনেক সহযোগিতা করতে পারেন। সেটা বুঝে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদেরও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়।’’ পাশাপাশি, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা বা প্রকল্পতেও যুক্ত থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবকদের ভাল কাজের নজির রয়েছে বলে জানান সিনিয়র চিকিৎসক তথা লিভার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অভিজিৎ চৌধুরী।
করোনাকালে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার দেখেছিল দেশ। তাই দেশ-বিদেশের সহযোগিতায় অসংখ্য অক্সিজেন কনসেনট্রেটর জোগাড় করে সোনারপুরের ওই প্রতিষ্ঠান। সদস্যেরা জানাচ্ছেন, কোভিড মিটলেও পরবর্তী কালে যে কোনও সময়ে ফের অক্সিজেনের প্রয়োজন বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় অক্সিজেন সুরক্ষা বলয়। কী ভাবে, কোথায়, কখন অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যবহার করতে হবে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদেরও। ২০২২-এ তাঁদের বিভিন্ন সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনে তৈরি করা হয় ‘রুরাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ওয়েলফেয়ার’। পার্থ জানান, ১১টি জেলায় ৬০টি ইউনিট রয়েছে অক্সিজেন সুরক্ষা বলয়ের। তার মাধ্যমে ভাল কাজ করা প্রায় ৩১৭ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি, রুরাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ওয়েলফেয়ার সংগঠনের সম্পাদক হিসাবে মনোনীত হন অভিজিৎ।