Fraud

বিএসএনএল-এর কর্মী পরিচয়ে দামি তার চুরি, ধৃত ১০

দিনের পর দিন মাটির নীচ থেকে বিএসএনএল-এর দামি তার চুরির তদন্তে নেমে রাস্তা আটকে ‘কাজ’ করার ওই চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করল হরিদেবপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩৮
Share:

ধৃতেরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। —প্রতীকী চিত্র।

রাত হলেই রাস্তায় লাগিয়ে দেওয়া হত ‘কাজ চলছে’ বোর্ড। রীতিমতো রাস্তা আটকে দীর্ঘ সময় ধরে খোঁড়াখুঁড়ি করা হত। নিজেদের বিএসএনএল-এর কর্মী পরিচয় দেওয়ায় কারও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু, দিনের পর দিন মাটির নীচ থেকে বিএসএনএল-এর দামি তার চুরির তদন্তে নেমে রাস্তা আটকে ‘কাজ’ করার ওই চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করল হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। তবে, তাদের হরিদেবপুর থেকে
ধরা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিদেবপুর থানা এলাকা থেকে সম্প্রতি ছোটখাটো চুরির অভিযোগ আসছিল। বেহালা এবং হরিদেবপুর এলাকার দায়িত্বে থাকা বিএসএনএল-এর এক কর্তা এর পরেই হরিদেবপুর থানায় তার চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। মাটির নীচ থেকে একের পর এক তার চুরির তদন্তে নেমে প্রথমে নাজেহাল হয় পুলিশ। এর পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ বুঝতে পারে, যেখানে কাজ চলছে, সেখানেই চুরি হচ্ছে। সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারে, তেমন কাজ ওই সংস্থা করাচ্ছে না। এর পরেই দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতেরা বিএসএনএল-এর পোশাক পরে সংস্থার কর্মী পরিচয়ে রাস্তা আটকে তুলে নিত মাইলের পর মাইল তার। ধৃতদের কাছ থেকে তার, মাটি খোঁড়ার যন্ত্র, লোহা কাটার মেশিন-সহ একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তার থেকে তামা বার করে বিক্রি করত অভিযুক্তেরা। এই চক্রে সংস্থার কেউ যুক্ত আছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আগে হায়দরাবাদ-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ এসেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement