প্রতীকী ছবি।
আবাসনের ভিতরে এখনও রয়েছে কালীপ্রতিমা। সেখানে বসে গল্পগুজব করছিলেন বাসিন্দারা। তার মধ্যেই আচমকা উপর থেকে ভারী কিছু নীচে পড়ার শব্দে চমকে উঠেছিলেন সকলে। নিরাপত্তারক্ষীরা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই আবাসনেরই বাসিন্দা এক কিশোরীর দেহ।
বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে লেক টাউনে। দ্রুত ওই কিশোরীকে দমদম নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বহুতলের ছাদ থেকে পড়া ওই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে, না কি এটি দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, লেক টাউনের একটি আবাসনের বাসিন্দা বছর পনেরোর ওই কিশোরী। দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী আবাসনের একটি সাত তলা বহুতলে থাকত। এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ উপর থেকে ভারী কিছু নিচে পড়ার শব্দ পেয়ে ছুটে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে চেঁচামেচি জুড়ে দেন তাঁরা। তাঁদের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন অন্য আবাসিকেরাও। নীচে নেমে আসেন ওই কিশোরীর বাবা-মাও।
পুলিশ জানিয়েছে, এর পরে সকলে মিলে মেয়েটিকে নিয়ে যান হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে যান লেক টাউন থানার পুলিশ ও বিধাননগরের পুলিশ কর্তারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, প্রণয়ঘটিত কারণে ওই কিশোরীর সঙ্গে কারও অশান্তি চলছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চায়নি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই ওই আবাসনে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।