টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এ বার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। —নিজস্ব চিত্র।
টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হল সোমবার। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাজারের বেশি পড়ুয়া ডক্টরেট, স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক শংসাপত্র হাতে পেলেন। এ ছাড়া ২২ জন পিএইচডি-র শংসাপত্র পেয়েছেন। এ বছর স্বর্ণপদক পান মোট ৬০ জন।
টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মানেই চমক। বিভিন্ন মাধ্যমের বিশিষ্টজনের উপস্থিতি, তাঁদের বক্তৃতা এবং আলোচনায় সমৃদ্ধ হন পড়ুয়ারা। এ বার বার্ষিক সমাবর্তনে বক্তৃতা করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। সেনার পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতি আলাদা করে নজর কেড়েছে। ২০২৪ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিভাগে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান করা হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের শিক্ষক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তীকে।
ভারতীয় সঙ্গীতে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়া হয়েছে শঙ্কর মহাদেবনকে। কলাক্ষেত্রে অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি, সাহিত্যে গুলজার এবং দৃশ্যশিল্পে (ভিজ়ুয়াল আর্ট) যোগেন চৌধুরীকে ওই সম্মান প্রদান করা হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কুণাল সরকার, চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে কালীপ্রদীপ চৌধুরীকে সাম্মানিক ডিলিট সম্মান দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে অচ্যুতা সামন্ত, কেডি মণ্ডল এবং শিক্ষা সংস্কারক হিসাবে শুভঙ্কর চক্রবর্তী সাম্মানিক ডিলিট পান। ১৯৯২ সালে শহিদ হওয়া জয়ন্ত অধিকারীর স্ত্রী ঊমা অধিকারীকে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করা হয় এ বছর।
সাম্মানিক ডিলিট পেলেন শাবানা আজ়মি। —নিজস্ব চিত্র।
টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য গৌতমরায় চৌধুরী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘আগামী কয়েক বছরে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ গবেষণা থেকে শিল্পক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, কলা থেকে বিজ্ঞান— সর্বত্রই এআই-র প্রভাব দেখা যাবে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্যও নতুন নতুন কাজের দিশা দেখা যাবে।’’ এআই-সহ প্রযুক্তি নিয়ে পড়ুয়াদের আরও উৎসাহী হওয়ার পরামর্শ দেন গৌতম। একই কথা শোনা যায় টেকনো ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর এবং চিফ ইনোভেশন অফিসার মেঘদূত রায়চৌধুরীর গলায়। তিনিও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এআই-র উপরে আলাদা করে জোর দিতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সমীরণ চট্টোপাধ্যায় সামগ্রিক ভাবে তুলে ধরেন শিক্ষার গুরুত্ব।