টেকনো ইন্ডিয়া-র নতুন উদ্যোগ। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব ভারতের নামী শিক্ষাগোষ্ঠী টেকনো ইন্ডিয়া-র নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে ‘স্কিল নলেজ অ্যান্ড ফ্যাশন ইউনিভার্সিটি’ তৈরির বিল পাশ হল বিধানসভায়। গত ৫ অগস্ট বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানিয়েছে ওই শিক্ষাগোষ্ঠী।
সত্যম জানান, চলতি বছরেই শিলিগুড়িতে ওই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘আগামী বছরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে ‘টেকনো ইন্ডিয়া স্কিল নলেজ অ্যান্ড ফ্যাশন ইউনিভার্সিটি’-র পঠনপাঠন।’’ তিনি এ-ও জানান, প্রতি বছর ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। থাকছে হাতেকলমে পাঠ নেওয়ার ব্যবস্থা। সত্যমের দাবি, ‘‘এটাই হবে ভারতের প্রথম ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে থাকছে উন্নততর পাঠক্রম। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, ছাত্রছাত্রীরা অন্যান্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে করতেও ফ্যাশন ডিজ়াইনের কোর্স করতে পারবেন।
টেকনো গোষ্ঠী জানিয়েছে, রাজ্যে ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও উত্তরবঙ্গে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। সংস্থার তরফে ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ জুড়ে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২টি ক্যাম্পাস রয়েছে। কিন্তু এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। শিলিগুড়িতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য আমি যে আবেদন করেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী তা মঞ্জুর করেছেন। ওঁর পরামর্শে আমি ‘স্কিল’ এবং ‘নলেজ’-এর সঙ্গে ফ্যাশনকেও যুক্ত করেছি। এটা শুধু আমাদের রাজ্যের গর্ব নয়, গোটা ভারতের জন্যও গর্বের বিষয়। কারণ, এটাই প্রথম বেসরকারি ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়।’’
টেকনো দাবি করেছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবেন। ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক প্রয়োগেরও প্রশিক্ষণ পাবেন। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে টেকনো ইন্ডিয়ার নতুন কর্ণধার দেবদূত রায়চৌধুরী যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘‘সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় এখন কলকাতার সবচেয়ে ‘ফ্যাশনেবল’ বিশ্ববিদ্যালয়। শিলিগুড়িতে ‘স্কিল-নলেজ অ্যান্ড ফ্যাশন ইউনিভার্সিটি’ আমাদের মুকুটে নতুন পালক। এ ভাবেই আমরা ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাব।’’