বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে চুরি, উদ্বিগ্ন শিক্ষকেরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ভবনে আছে চারটি বিভাগ— কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্থাপত্য। চারটি বিভাগের প্রধানেরা লিখিত ভাবে উপাচার্যকে জানিয়েছেন, প্রচণ্ড চুরি হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০২:২৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে চুরির ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন বিভাগে এত চুরি হচ্ছে যে, উপাচার্যকে লিখিত ভাবে তা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার আধিকারিকদের নিয়ে ওই বিভাগগুলি ঘুরে দেখেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ভবনে আছে চারটি বিভাগ— কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্থাপত্য। চারটি বিভাগের প্রধানেরা লিখিত ভাবে উপাচার্যকে জানিয়েছেন, প্রচণ্ড চুরি হচ্ছে। চুরি গিয়েছে গবেষণাগারের বহু সামগ্রী, যার মধ্যে রয়েছে এলসিডি প্রজেক্টরও। অবস্থা এমন পর্যায়ে যে, নতুন সিমেস্টারের ক্লাস নিতেই অসুবিধা হচ্ছে শিক্ষকদের।

ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্য বিভাগগুলিতেও চুরি হয়ে চলেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) পক্ষ থেকেও উপাচার্যকে তাদের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘যে ভাবে চুরি বাড়ছে, তা খুবই উদ্বেগের।’’ তাঁর দাবি, প্রায় কোটি টাকার সামগ্রী ইতিমধ্যেই চুরি হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেরই বক্তব্য, সিসি ক্যামেরা বসালে চোর ধরা সহজ। কিন্তু ক্যামেরা বসানো নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। রাতে পুলিশি টহলের ব্যবস্থাতেও অনেকের আপত্তি রয়েছে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘‘সব কিছু ঘুরে দেখা হয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। প্রবেশপথগুলিতেও জোরদার করা হবে নিরাপত্তা।’’

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেহগনি গাছ কে বা কারা কেটেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জুটা। তারা উপাচার্যকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement