Offline classes

Schools: অফলাইন, অনলাইনে ভারসাম্য রাখতে বিপাকে শিক্ষকেরা

বেসরকারি স্কুলগুলির অবশ্য দাবি, তারা অনলাইন ও অফলাইন সমান ভাবেই চালাচ্ছে। কিন্তু কোথাও কি অফলাইন ক্লাস বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত ১৬ নভেম্বর খোলার পরেই স্কুলগুলিতে শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশের অফলাইন ক্লাস। এর পাশাপাশি, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির অনলাইন ক্লাসও চলছে। কারণ, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য
স্কুলের দরজা এখনও খোলেনি। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, একই সঙ্গে দুই পদ্ধতিতে ক্লাস শুরু হওয়ায় অনলাইন পড়াশোনা কি ব্যাহত হচ্ছে? শিক্ষকদের অনেকেরই মতে, একই সঙ্গে অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস করাতে গিয়ে অসুবিধা হচ্ছে তাঁদের। বিশেষ করে, অফলাইন ও অনলাইন ক্লাসের পৃথক রুটিন তৈরি করতে গিয়ে খুবই সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের একাংশের মতে, একই সঙ্গে অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস চালাতে গেলে যে পরিকাঠামো দরকার, তা অধিকাংশ স্কুলেই নেই।

Advertisement

হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য জানালেন, শিক্ষকেরা অফলাইন ক্লাস নিতে স্কুলে আসছেন। স্কুলে বসেই তাঁদের আবার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস করাতে হচ্ছে। জয়ন্তবাবু বললেন, “এই স্কুলের নিজস্ব ইন্টারনেট সংযোগ বাওয়াইফাই নেই। ফলে শিক্ষকদের নিজেদেরই মোবাইলের ডেটা খরচ করে অনলাইন ক্লাস করাতে হচ্ছে। স্কুল ভবনে নেটওয়ার্কেরও সমস্যা আছে। তাই সব ঘর থেকে অনলাইন ক্লাস নেওয়া যায় না। স্কুলের নিজস্ব নেট সংযোগ না থাকলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস করানো বেশ কঠিন।”

সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া সিংহ মহাপাত্র জানান, যাঁরা স্কুলে এসে অফলাইন ক্লাস নিচ্ছেন, তাঁদের অনেককেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস নিতে হচ্ছে। ওই শিক্ষকদের সকলেই স্কুলে আসছেন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে। থাকছেন বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত। তাঁর মতে, অফলাইনের ফাঁকে অনলাইন ক্লাস নেওয়া কঠিন। যে সময়টা ক্লাস থাকে না, তখন আবার অন্যান্য কাজও থাকে শিক্ষকদের। পাপিয়া বলেন, “স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় আবার অনলাইন ক্লাস করাতে বসতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এটা কঠিন। আমরা পুরো স্কুল চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছি।”

Advertisement

কেষ্টপুরের দেশপ্রিয় বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা নাজরিল নাহারের মতে, একসঙ্গে অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাস করাতে একটু অসুবিধা তো হচ্ছেই। নাজরিল বললেন, “অফলাইনের ফাঁকে ফাঁকে অনলাইন ক্লাস করানোর সময় পাওয়া কঠিন। স্কুলে নেটের সংযোগও ভাল নয়। স্কুলে খুব দ্রুত ওয়াইফাই চালু করব। তা হলে অনলাইন ক্লাস নিতে সুবিধা হবে।”

যে সব স্কুলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আছে, সেখানে অফলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ার পরে অনলাইন ক্লাস খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেই মনে করেন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হন্ডা। তিনি বলেন, “অনলাইন ক্লাস করানোর পরিকাঠামো বহু স্কুলেই নেই। একসঙ্গে অনলাইন ও
অফলাইন শুরু হওয়ায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা। তাদের কার্যত কোনও ক্লাসই হচ্ছে না।” আনন্দবাবু জানান, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সমস্ত ক্লাস অফলাইনে চালুর দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।

বেসরকারি স্কুলগুলির অবশ্য দাবি, তারা অনলাইন ও অফলাইন সমান ভাবেই চালাচ্ছে। কিন্তু কোথাও কি অফলাইন ক্লাস বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে? রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, “প্রাধান্য অফলাইন ক্লাসই বেশি পাচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষক ও পড়ুয়া অফলাইনেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তবে স্কুলের রুটিনে একটা সমতা বজায় রাখার চেষ্টা হচ্ছে আমাদের তরফে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement