Teachers

চাকরিপ্রার্থী এবং শিক্ষকদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

এসএসসি অফিসের সামনে অনশন বিক্ষোভ তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিক্ষক ও চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধর্মতলা এবং সল্টলেকে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল।

Advertisement

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ়ড মাদ্রাসা টিচার অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকে ‘আন-এডেড’ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাম্মানিকের দাবিতে এ দিন ধর্মতলার গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। অন্য দিকে উচ্চ প্রাথমিকে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকের স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসি অফিসের সামনে অনশন বিক্ষোভ তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ়ড মাদ্রাসা টিচার অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকে ‘আন-এডেড’ মাদ্রাসার আন্দোলনরত শিক্ষকশিক্ষিকারা জানান, তাঁরা এ দিন গাঁধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হতে না হতেই পুলিশ জমায়েত হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, ২৩৫টি আন-এডেড মাদ্রাসার ২৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা দীর্ঘ আট বছর বেতনহীন। ৪০ হাজারের মতো ছাত্রছাত্রী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমনকি ন্যূনতম মিড-ডে মিলও মেলে না। সরকারকে বার বার বলার পরেও ফল না মেলায় তাঁরা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ দিনই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ফুরফুরা শরিফের ত্বহা সিদ্দিকি। সেখানে তিনি সরকার স্বীকৃত নয়, এমন একটি মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশনের আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।।

Advertisement

এ দিন গাঁধী মূর্তির পাদদেশ থেকে নবান্ন অভিযানের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জাভেদ মিয়াঁদাদকে গ্রেফতারের সময়ে নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। জাভেদ বলেন, “টেনেহিঁচড়ে আমায় ভ্যানে তুলতে যায় পুলিশ। আমি সেই সময়ে আহত হয়েছি। আমাদের লালবাজারে সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে আসা হয়।” আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা এই অভিযানের বিষয়টি প্রশাসনকে আগে জানিয়েছিলেন।

অন্য দিকে উচ্চ প্রাথমিকের জন্য টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার সল্টলেকের করুণাময়ীর স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ কয়েক জনকে ধরে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার নোটিফিকেশন হয়। পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে ফল বেরোয়। ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর মেধাতালিকা প্রকাশের পরে এখনও নিয়োগ হচ্ছে না। আন্দোলনকারীরা জানান, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ১৬০০০ টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের কথা বলেছেন, কিন্তু সেটা প্রাথমিকে নিয়োগ না উচ্চ প্রাথমিকে, তা স্পষ্ট নয়। এক আন্দোলনকারীর কথায়, “শিক্ষা দফতর থেকে জেনেছি এই ১৬ হাজার নিয়োগ হবে প্রাথমিকে। উচ্চ প্রাথমিকে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ অনশনে বসেছি।” এ দিন উচ্চ প্রাথমিকের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। সেখানে উপস্থিত হয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “অনেক প্রতিশ্রুতি হয়েছে। এ বার নিয়োগ চাই।” গ্রেফতার হওয়া আনএডেড মাদ্রাসার শিক্ষক ও উচ্চ প্রাথমিকে আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement