নির্মাণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
শহরের বাতাসে বিষের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এর পিছনে নির্মাণস্থল ও ইমারতি দ্রব্য থেকে আসা ধূলিকণা অনেকটাই দায়ী বলে পরিবেশবিদদের দাবি। এই পরিস্থিতিতে নির্মাণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, আগামী ১৬ জানুয়ারি ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ দফতর এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারাও।
পরিবেশ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘নির্মাণ সংস্থাগুলির সঙ্গে এর আগে কলকাতা পুরসভা বৈঠক করেছে। সে সময়ে এ ব্যাপারে রূপরেখা তৈরির কথাও বলেছিলেন পুরকর্তারা। তার পরেও বাতাসে কংক্রিটের গুঁড়োর পরিমাণ কমেছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে পারে।’’
পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা এবং হাওড়ায় বায়ুদূষণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এত দিন গাড়ির ধোঁয়াকেই মূলত দায়ী করা হত। কিন্তু একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভাসমান ধূলিকণায় কংক্রিটের গুঁড়োও কম নয়। জাতীয় পরিবেশ প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থা (নিরি)-র রিপোর্টেও ইমারতি দ্রব্য থেকে উড়ে আসা ধূলিকণার উল্লেখ রয়েছে। পরিবেশবিদদের দাবি, নির্মাণস্থল থেকে দূষণ ঠেকাতে নির্দিষ্ট বিধি রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না।
বৈঠক প্রসঙ্গে নির্মাণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ক্রেডাই বেঙ্গলের প্রধান নন্দু বেলানি বলছেন, ‘‘কলকাতার বায়ুদূষণের পিছনে আমরা মূল দায়ী নই। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিবেশ দফতর যে বৈঠকে উদ্যোগী হয়েছে, তা খুবই প্রশংসনীয়। দফতর যে পরামর্শ দেবে, সেগুলি অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করা হবে।’’