প্রতীকী চিত্র।
চোর ধরতে গিয়ে তার পাল্টা হামলায় ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হলেন দুই ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরবেলায় বাঁশদ্রোণীতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এইচ এল লস্কর রোডের শিবধাম আবাসনের বাসিন্দা অনুপ চক্রবর্তীর ঘুম হঠাৎ ভেঙে যায় ভোর চারটে নাগাদ। চোখ খুলে তিনি দেখেন, খোলা জানলা দিয়ে এক জন হাত বাড়িয়ে জানলার পাশে রাখা মোবাইল চুরি করছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ‘চোর, চোর’ বলে চিৎকার জুড়ে দেন। তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা ওই চোরকে পাকড়াও করার চেষ্টা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপের প্রতিবেশী সুদীপ নস্কর প্রথমে ধরতে যান ওই যুবককে। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবক একটি বড় ছুরি বের করে পাল্টা ঝাঁপিয়ে পড়ে সুদীপের উপর। তার পিঠে-পেটে এলোপাথাড়ি কোপ মারার চেষ্টা করে। তাঁকে বাঁচাতে তখন এগিয়ে আসেন সুদীপের ভাই শুভঙ্কর। তিনি দাদাকে বাঁচাতে গেলে একই ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই যুবক। দু’ভাই গুরুতর জখম হন ওই যুবকের ছোরার আঘাতে।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রের ৪টি রাজধানীর পরিকল্পনা জগনের, দাবি বিজেপি সাংসদের
এর মধ্যে আরও প্রতিবেশীরা জড় হন। সবাই মিলে ওই যুবককে পাকড়াও করতে গেলে সজল মণ্ডল নামে অন্য এক বাসিন্দাও সামান্য জখম হন।
শেষ পর্যন্ত সবাই মিলে ওই যুবককে পাকড়াও করে নিরস্ত্র করেন। গনরোষের মুখে পড়ে ওই যুবক। স্থানীয়রাই শেষ পর্যন্ত ওই হামলাকারী যুবককে উদ্ধার করে। পুলিশকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে রক্তাক্ত অবস্থায় জখম হয়েও শুভঙ্কর এবং সুদীপ ঝাপটে ধরে রাখেন ওই হামলাকারী যুবককে। পাড়ার বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন: পর্ণশ্রীতে বান্ধবীর বাড়িতে স্বামীর দেহ, খুনের অভিযোগ স্ত্রীর
পুলিশ ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম জাহির শেখ। কুলপি থানা এলাকার নাইয়াপাড়ার বাসিন্দা। এর আগে তার কোনও অপরাধের খতিয়ান আছে কী না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, চোর ধরতে জখম দুই ভাইকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁদের অবস্থা গুরুতর হলেও স্থিতিশীল। সুদীপের ৪০টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।