ফাইল চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার সল্টলেকে একটি চড়ুইভাতির অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। যা দেখে বিজেপির অভিযোগ, চড়ুইভাতির নামের আড়ালে ওই অনুষ্ঠান আসলে ভোটের আগে তৃণমূলের জনসংযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা। যা আদর্শ আচরণ-বিধির বিরোধী।
এ দিন সকালে সল্টলেকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবি-বিসি পার্কে ওই চড়ুইভাতির অনুষ্ঠান হয়। তাতে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীণ নাগরিক-সহ অন্য বাসিন্দারাও। বিতর্ক তৈরি হয় দমকলমন্ত্রীর যোগদান এবং অনুষ্ঠানের জন্য টাঙানো ব্যানার ঘিরে। বিজেপির অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানটি নামেই বাসিন্দাদের নিয়ে খাওয়াদাওয়ার। বস্তুত এটি রাজনৈতিক ভাবে জনসংযোগের একটি অনুষ্ঠান। সেখানে মন্ত্রীর যোগদান আচরণ-বিধি ভঙ্গের শামিল।
যদিও চড়ুইভাতিতে যোগদানকারীদের একাংশের দাবি, কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি সামাজিক মেলবন্ধনের একটি অনুষ্ঠান। অনেক আগে থেকেই ওই অনুষ্ঠানের বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল।
১১৬, বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির নির্বাচনী আহ্বায়ক অশেষ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বাসিন্দাদের সকলের পক্ষে সব নির্বাচনী আচরণ-বিধি জানা সম্ভব নয়। কিন্তু দমকলমন্ত্রী নিয়ম-কানুন জানেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর যোগদান ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। এটি কার্যত নির্বাচনী আচরণ-বিধি
ভঙ্গের শামিল।’’
বিবি-বিসি পার্কের একটি অংশ ঘিরে ওই অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়া হয়েছে। একটি মঞ্চও তৈরি করা হয়েছিল। পার্কের বাইরে ব্যানার লাগানো হয়েছিল। তাতে মন্ত্রীর ছবি দেওয়া ছিল।
মন্ত্রী সুজিত বসু অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও বাসিন্দারা ‘গেট টুগেদার’ এর মতো একটি অনুষ্ঠান করেছেন। সেখানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। এটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। অনেক আগেই অনুষ্ঠানের ঘোষণা করা হয়েছিল। সমস্ত নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠান হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, বিধায়ককে বাসিন্দারা যে কোনও অনুষ্ঠানে কাছে পান। এটি তেমনই একটি ঘটনা। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির নেতাকর্মীদের একাংশ বিভিন্ন জায়গায় চা-চক্রের অনুষ্ঠান করেন। এ বার সেই অনুষ্ঠান নিয়েও তা হলে প্রশ্ন উঠতে পারে।
বিজেপিকর্মীদের পাল্টা দাবি, তাঁরা আচরণ-বিধি সম্পর্কে সতর্ক। বিধি মেনেই তাঁরা কাজ করছেন।
চড়ুইভাতির ওই ঘটনা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী আধিকারিকদের একাংশ।