সুজেটের স্মৃতিতে। ছবি: রণজিত্ নন্দী।
মেয়ে নেই, কিন্তু মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচারের দ্রুত বিচার চাইলেন বাবা। শনিবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে নিগৃহীতা সুজেট জর্ডনের শেষকৃত্যের পরে তাঁর বাবা পিটার বললেন, ‘‘২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হওয়া অপরাধের দ্রুত বিচার চাই। মামলা যেন কোনও মতেই বন্ধ না হয়। মেয়ে না হোক, আমরা যেন সেই বিচার পাই।’’
শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ কলকাতার ‘স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-এ মৃত্যু হয় সুজেট জর্ডনের। তার পরেই তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় পিস হাভ্নে। শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ভিড় বাড়তে থাকে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাধারণ মানুষেরও ভিড় দেখা যায়। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুজেটের দুই মেয়ে। দেহ সেখান থেকে বার করার কিছু আগে দুই কিশোরী চলে যান সেন্ট মেরি গির্জায়। দুপুর দু’টো নাগাদ ওই গির্জায় নিয়ে আসা হয় দেহটি। গাড়ি আসার সময়ে রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়ছিল ভিড়। কারও কারও মুখে আক্ষেপ: ‘‘মেয়েটা বিচার পেল না।’’ গির্জায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের নবনিযুক্ত রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সুজেটকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সুজেট মারা গিয়েছেন। কিন্তু ওঁর প্রতিবাদ থাকবে।’’
পৌনে তিনটে নাগাদ গির্জায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রায় চারটে নাগাদ সুজেটের দেহ নিয়ে ভবানীপুরের কবরস্থানের উদ্দেশে রওনা হন পরিবারের সকলে। সেখানে হাজির ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে আমরা আছি।’’
এখানেই শেষ বারের মতো মাকে আদর করে চির বিদায় জানায় সুজেটের দুই মেয়ে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হলে সুজেটের বাবা পিটার নিজের মেয়ের উপরে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের দ্রুত বিচার কামনা করেন।