সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করে ইডি। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ আবার অসুস্থ। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে ঢোকার মুখে ইডি তদন্তের কথা শুনেই মেজাজ হারালেন লিপ্স অ্যান্ড বাউন্সের উচ্চপদে চাকরি করা সুজয়কৃষ্ণ। রেগেমেগে খারাপ কথা বলেন তিনি। এর পর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিয়োগ মামলায় জেলবন্দি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ যে সংস্থার উচ্চপদে চাকরি করতেন, সেই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে সোমবার রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সোমবার সকাল থেকে তিন জায়গায় অভিযান চালায় ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি দু’জায়গায় তল্লাশি দ্রুত শেষ হলেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আলিপুরের লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের শাখায় ইডির অভিযান চলে। সেই তল্লাশি শেষে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি করেছে ইডির একটি সূত্র। ঘটনাচক্রে ওই দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সুজয়কৃষ্ণ।
মঙ্গলবার রাতে অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো সুজয় ধীরে ধীরে বলেন, ‘‘বুকে খুব ব্যথা।’’ এর পর তাঁকে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানিতে ইডি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন করতেই উঠে বসে পড়েন। মুখের মাস্ক খুলে যায়। উত্তেজিত হয়ে বেশ কিছু খারাপ শব্দ বলে। ‘কালীঘাটের কাকু’র ওই কুকথার পরই তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের অভ্যন্তরে চলে যান সিআইএসএফ বাহিনীর সদস্যেরা।
ইডি সূত্রে খবর, এই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় উচ্চ পদে চাকরি করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আবার তাঁরই সংস্থা এসডি এন্টারপ্রাইজ়ের সঙ্গেও ওই সংস্থার লেনদেনের প্রমাণ গোয়েন্দারা পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে, ২০২০-২১ সালের মধ্যে কাকুর এসডি এন্টারপ্রাইজ়ের সঙ্গে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ৯৫ লক্ষ ১ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। কবে কত টাকা লেনদেন, তা-ও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।
এর আগে গত জুলাই মাসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়। গত জুলাই মাসে সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বাণী ভদ্রের মৃত্যু হয়। শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার জন্য প্যারোলে বাড়ি ফিরেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।