গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর নথি জাল করে ‘তোলাবাজি’-র মামলায় গ্রেফতার সুদীপ্ত রায়চৌধুরী। সম্প্রতি বিধাননগর উত্তর থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। জানানো হয়েছিল, ইডি-র নথি জাল করে প্রতারণা করা হয়েছে অনেকের সঙ্গে। তদন্তে উঠে আসে, ওই নথি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং নেতাকে ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করা হত। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধাননগর উত্তর থানা সুদীপ্তকে গ্রেফতার করে। তার আগে সুদীপ্তর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। এই চক্রে আরও কারা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী ভাবে ইডি-র নথি সুদীপ্তর হাতে আসত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।
ধৃত সুদীপ্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩০, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭২, ৪৭৪ এবং ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর ধৃতকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ সুদীপ্তকে তাদের হেফাজত দেওয়ার আবেদন জানাবে। ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার সুদীপ্তর নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রসঙ্গত, ওই নথি জালের সঙ্গে চিটফান্ডের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। ইডি-র নথিতে বেশ কয়েকজনের নাম দেখিয়ে বলা হত, অর্থের বিনিময়ে তাদের নাম সেখান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। সুদীপ্ত নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিতেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করতেন।
এখন সুদীপ্তকে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে চায়, তাঁর ওই চক্রের তোলাবাজির ঘটনায় আরও কারা জড়িত। সূত্রের খবর, সুদীপ্তকে জেরার সূত্রে আরও অনেকের উপর নজর রাখা হচ্ছে। নজরবন্দিদের মধ্যে কয়েকজন রাজনীতিকও রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ বার তাঁদেরও ডেকে জেরা করা হবে কি না, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: পাইপ ফেটে বিপত্তি, শনি ও রবি মিলবে না টালা ট্যাঙ্কের জল