প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হল প্রয়াত রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। রবিবার একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে হাজির হন তাঁর প্রায় সমস্ত সতীর্থ। সমবেদনা জানান স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়কে। সকাল থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান চলে বিকেল পর্যন্ত। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিনভর যাতায়াত ছিল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। সকাল থেকেই সেখানে ছিলেন দমদমের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। পরে একে একে সেখানে আসেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার, বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় -সহ তাঁর রাজনৈতিক সতীর্থরা।
নিজস্ব চিত্র
তাঁর বিরোধী শিবিরে থাকলেও, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, পিডিএস নেতা সমীর পুততুন্ড। বাংলাদেশে হাইকমিশনের প্রতিনিধিরাও হাজির হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পারলৌকিক ক্রিয়ায়। দুপুর ১টায় একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আধ ঘন্টা ছিলেন সেখানে। পরে সুব্রতর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যান তিনি।
নিজস্ব চিত্র
সুব্রতর স্মৃতিচারণা করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন আমাদের নেতা। তাঁর কাছেই আমরা প্রথম ছাত্র রাজনীতির পাঠ নিয়েছিলাম। তিনি একমাত্র রাজনীতিক যিনি খবর তৈরি করতেন। যার কাছে গেলে সংবাদমাধ্যম কখনও খালি হাতে ফিরত না। তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনীতিতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।’’ আমন্ত্রিত থাকলেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর পারলৌকিক ক্রিয়া যোগ দিতে যাননি তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আজ মনটা ভারাক্রান্ত ছিল। কালীপুজোর রাতেই চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারিনি। তার নেতৃত্বে আন্দোলন করে আমরা যে কত কি শিখেছি বলে শেষ করা যাবে না। ঝগড়াও হয়েছে আবার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছি। সেই সব কথা বার বার মনে আসছিল, তাই যাওয়ার সাহস হয়নি। মেয়র হিসেবে যে কাজ সুব্রতদা করেছেন, তা কলকাতাবাসী সারাজীবন মনে রাখবে। আমরা সবাই ছন্দবাণী বৌদির এমন কঠিন সময় পাশে থাকব।’’