— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেউ ক্রিকেট ভালবাসে, কেউ বা টেবিল টেনিস। কেউ আবার সময় পেলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া কলকাতার চার পড়ুয়াই জানিয়ে দিল, পরীক্ষার আগে বেশি করে পড়াশোনা নয়, বরং একাদশ শ্রেণি থেকে রুটিন করে পড়ার ফলেই সাফল্য এসেছে। ওই চার জন অ্যাডভান্সড জয়েন্ট এন্ট্রান্সও দিয়েছে। আগামী ৯ জুন যার ফল বেরোবে।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র ময়ূখ চৌধুরী রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে পঞ্চম স্থান পেয়েছে। দশম ও দ্বাদশ, সমস্ত পরীক্ষাতেই ভাল ফল করেছে সে। ময়ূখ বলল, ‘‘অ্যাডভান্সড জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতিও হয়ে গিয়েছিল।’’ সে আইআইটি-তে কম্পিউটার সায়েন্স অথবা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চায়। তার কথায়, ‘‘পড়াশোনার ফাঁকে ক্রিকেট দেখাও চলেছে। ছোট থেকেই বিরাট কোহলি ব্যাট করলে সব কাজ বন্ধ রেখে খেলা দেখি।’’
ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র অথর্ব সিংহানিয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্সে অষ্টম হয়েছে। সে বলল, ‘‘একাদশ থেকেই সপ্তাহে কতটা পড়ব, সেটা ঠিক করে রাখতাম। ফলে, পরীক্ষার আগে পড়াশোনার চাপ বেশি ছিল না। অ্যাডভান্সডের ফলও আশা করি ভাল হবে। আইআইটি-তে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাই।’’ পড়াশোনার ফাঁকে টেবিল টেনিস খেলে সে।
উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছিল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের শৌনক কর। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধা তালিকায় সে নবম হয়েছে। সে-ও রাজ্য জয়েন্টের সঙ্গে অ্যাডভান্সড জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়েছে। শৌনক আইএসআই-তে পড়তে চায়। সে বলল, ‘‘ভাল ফল করার জন্য পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে অন্য বইও পড়েছি। বেশি করে মক টেস্ট দিয়েছি।’’ সোনারপুরের বাসিন্দা, বিডিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পড়ুয়া বিজিত মইশ রাজ্য জয়েন্টে দশম স্থান পেয়েছে। সে-ও অ্যাডভান্সড জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়েছে। সে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে পড়তে চায়। বিজিত জানায়, পড়ার চাপের মধ্যেও সাইকেল চালানোর নেশাটা পুরোপুরি ছাড়তে পারেনি সে।