ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হোস্টেল এবং গার্লস হোস্টেলের আবাসিকরা। নিজস্ব চিত্র।
২৭ দিন ধরে ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হোস্টেল এবং গার্লস হোস্টেলের আবাসিকরা। ক্যাম্পাসেই চলছে রাত্রিযাপন। হিন্দু হোস্টেল এবং গার্লস হোস্টেল খোলার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান এবং রাত্রিযাপন চালিয়ে যাবেন বলেই দাবি পড়ুয়াদের।
হিন্দু হোস্টেলের আবাসিক শাহরিয়ার আলম মণ্ডল বলেন, “প্রায় সমস্ত বিভাগে অফলাইন ক্লাস চালু হওযার পরেও হোস্টেল খোলার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে নূন্যতম প্রয়াস চোখে পড়েনি। জেলা এবং মফস্বলের পড়ুয়াদের চূড়ান্ত হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ক্যাম্পাসকেই বাসস্থান বানিয়ে নিয়েছি।”
গার্লস হোস্টেলের আবাসিক প্রিয়াঙ্কা দাসের বক্তব্য,“অফলাইন ক্লাস চালু হওযার পরে জেলা এবং মফস্বলের দুঃস্থ মেয়ে পড়ুয়াদের কাছে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। হোস্টেলহীন সমস্ত মেয়ে পড়ুয়াদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব কি কর্তৃপক্ষ নেবে?”
বর্তমানে ছাত্র এবং ছাত্রীদের হস্টেলে সুপার বা সহ-সুপার পদেও কেউ নেই। ওই দুই পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার ওই দুই হস্টেলের সুপার এবং সহ-সুপার পদের জন্য শিক্ষকদের থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ সেই আবেদন করার শেষ দিন। অবস্থানকারীদের বক্তব্য, যত দিন না হস্টেল চালু হচ্ছে, তাঁরা ক্যাম্পাসেই থাকবেন।
হোস্টেল ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান চলবে বলেই জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা। হোস্টেল খোলার দাবিতে সোমবার ক্যাম্পাসে একটি সাংস্কৃতিক জমায়েতেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।