দমদমের একটি স্কুলে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রটি কোমরে গুরুতর আঘাত পেয়েছে বলেই দাবি তার পরিবারের। দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ্ত বসু নামে ওই আহত ছাত্রের পরিবারের তরফে দমদম থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে আহত ছাত্রের তরফে কারও বিরুদ্ধে নাম করে কোনও অভিযোগ রাত পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। পুলিশের পাশাপাশি স্কুলের তরফেও ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রদীপ্তর বাবা পবিত্রবাবুর অভিযোগ, টিফিনের সময়ে স্কুলের খেলার মাঠে ওই ঘটনা ঘটে। তাঁর ছেলেকে প্রথমে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্ররা গায়ে খাবার ছুঁড়ে মারে। পবিত্রবাবুর দাবি, ‘‘আমার ছেলে এর প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রেরা সকলে মিলে ওর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক জন ওর দুটো হাত পা দিয়ে চেপে ধরেছিল, যাতে ও নড়াচড়া করতে না পারে। অন্যরা ঠিক ফুটবল খেলার ধাঁচে ছেলেকে লাথি মেরেছে।’’
ঘটনার পরে চিকিৎসার জন্য প্রদীপ্তকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় বলেই জানান তার অভিভাবকেরা। তাঁরা জানান, এক অভিভাবক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে প্রদীপ্তকে ওই ছাত্রদের হাত থেকে উদ্ধার করেন। সেই অভিভাবকই প্রদীপ্তর বাড়িতে ফোন করে সব কথা জানান বলেই দাবি আহতের পরিবারের।
প্রশ্ন উঠেছে এমন ঘটনা কী করে স্কুল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীরবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ঘটনাটি স্কুলের মাঠে নয়, রাস্তায় ঘটেছে। ফলে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন ছাত্রদের টিফিনের সময় স্কুলের বাইরে যেতে দেওয়া হবে?
প্রবীরবাবুর কথায়,‘‘ মিড ডে মিলের জন্য টিফিনের সময়ে স্কুলের গেট খুলে দেওয়া হয়। আমরাও ঘটনার তদন্ত করছি। বুধবার স্কুল খুললে ওই ছাত্রদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হবে।’’