মাপে ও মাত্রায় জওহরলাল নেহরু আর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলমাল বা মারধরের ঘটনা অনেক বড়। সেই সমস্ত কিছু নিয়েই সোমবার বাম ছাত্র শিবিরের আলোচনা চলছিল দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে। তার পরেই হামলা হল তাদের উপরে। বাড়ি থেকে তুলে ওই কলেজের ক্যান্টিনে এনে এক এসএফআই-সমর্থককে বেদম পেটানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে পাটুলি থানায়। এবং আঙুল উঠেছে সেই টিএমসিপি-র দিকেই।
সাংসদ সুগত বসু বুধবার লোকসভায় মুখ খোলার আগে পর্যন্ত জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল নীরবই ছিল। পুলিশি সূত্রের খবর, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্ধমান ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে এসএফআই-সমর্থকেরা এ দিন দুপুরে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের ক্যাম্পাসে বৈঠক করছিলেন। অভিযোগ, বৈঠকের পরে কলেজের কিছু তৃণমূল-সমর্থক তাঁদের হুমকি দেন। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যা তথা ওই কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদিকা তনুশ্রী মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল-সমর্থকেরা হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। সায়ন পাল নামে আমাদের এক সমর্থককে জোর করে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে আনা হয় কলেজ ক্যান্টিনে। সেখানে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে টিএমসিপি।’’
থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে ওই কলেজের টিএমসিপি-র সাধারণ সম্পাদিকা স্নিগ্ধা সাহা-সহ পাঁচ জন তৃণমূল-সমর্থকের নাম উল্লেখ করেছে এসএফআই। তনুশ্রীর অভিযোগ, এসএফআই-সমর্থক হলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। তবে বাড়ি থেকে তুলে এনে ক্যান্টিনে ঢুকিয়ে মারধর সাম্প্রতিক কালে এই প্রথম।
কলেজের অধ্যক্ষ সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গভর্নিং বডির বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এই ধরনের কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।’’ তিনি জানান, এসএফআইয়ের তরফে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, ওই সময় কলেজের ক্যান্টিন রুম বন্ধ ছিল।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র। তিনি বলেন, ‘‘এসএফআই ইতিমধ্যেই ছাত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় মুছে গিয়েছে। এখন, ভোটের মুখে টিএমসিপি-র নামে মিথ্যা অভিযোগ করে ওরা প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে।’’