নিজের হাসপাতালের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার পরে শুধু থানায় অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হওয়া নয়, ১৫ জন ছাত্রকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কারের নির্দেশ জারি করলেন অধিকর্তা। বুধবার সল্টলেকের হোমিওপ্যাথি হাসপাতালের ছাত্রদের এই নির্দেশ পাঠান অধিকর্তা এস কে নন্দা।
স্রেফ বহিষ্কারই নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ছাত্রদের কলেজ-হাসপাতালের হস্টেল ছেড়ে যাওয়ার কথাও আছে নির্দেশিকায়। এমনকী, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ওই সব ছাত্রদের হাসপাতাল বা হস্টেল চত্বরে দেখা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। অধিকর্তাকে হেনস্থা, খুনের চেষ্টা, হাসপাতালে পোস্টার মারা, অশান্তি ছড়ানো, রোগীদের ও সংবাদমাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ এনে ওই ১৫ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যদিও বুধবার হাসপাতালে গেলে অধিকর্তার দেখা মেলেনি এবং তাঁর মোবাইলে সাড়া মেলেনি।
কিছু দিন আগেই ওই হাসপাতাল চত্বরে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন অধিকর্তা এস কে নন্দা। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের একাংশের পরিবারের সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হন। যদিও তাঁর অভিযোগ, ছাত্রদের একাংশ ওই গোলমালের পিছনে ছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ছাত্রদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, আটকে রাখা, হেনস্থা করা, ভীতি প্রর্দশন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদের বক্তব্য, ওই ঘটনায় তাঁরা যুক্ত নন। তাঁদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। বরং অধিকর্তাই তাঁদের এক ছাত্রকে মারধর করেছেন। তবে সেই অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর মেলেনি বিধাননগর পুলিশের তরফে। এক পুলিশ কর্তার দাবি, ছাত্রদের অভিযোগ না নেওয়ার কোনও ঘটনা তাঁদের জানা নেই।
ছাত্রদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও হোমিওপ্যাথি হাসপাতালের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। গঠিত হয়েছে একটি কমিটিও। তাঁদের আশা, কমিটি অবস্থার প্রকৃত বিচার করবে। তবে ইতিমধ্যে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। ছাত্রদের বহিষ্কারের কথা জানাজানি হতে এ দিন হাসপাতালে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয়।