দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করার প্রতিবাদে পড়ুয়াদের সই সংগ্রহ করছিলেন এক ছাত্র। সেই সময়ে তাঁকে উপাচার্যের ঘরে নিয়ে গিয়ে মানসিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দির বিভাগীয় প্রধান তনুজা মজুমদারের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রের অভিযোগ, ‘‘আমাকে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সামনে নিয়ে গিয়ে তনুজা ম্যাডাম এমন ব্যবহার করেন, যা মানসিক নির্যাতনের সমান। আমাকে বহিষ্কার করার হুমকিও দেওয়া হয়।’’ বুধবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
হিন্দি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মনু ওঝা জানান, তিন দিন আগে ওই বিভাগের দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে তাঁদের বহিষ্কার করা হল, তা জানতে চাওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দিতে পারেননি বলে তাঁর অভিযোগ। সেই জন্য ওই দুই শিক্ষককে বহিষ্কারের কারণ জানতে চেয়ে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার কাছে লিখিত আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাই সমস্ত পড়ুয়াদের থেকেই সই সংগ্রহ করা হচ্ছিল। মনুর অভিযোগ, ‘‘সই সংগ্রহ করছি দেখে তনুজা ম্যাডাম আমাকে উপাচার্যের ঘরে নিয়ে যান। সেখানেই আমার উপরে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।’’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ওই ছাত্রের তোলা মানসিক নির্যাতনের অভিযোগের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ওর কিছু অভিযোগ থাকতেই পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা খতিয়ে দেখবেন।’’ ওই ছাত্র জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণকুমার মাইতির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা তনুজা মজুমদারের বক্তব্য জানার জন্য তাঁকে বারবার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।