Toxic Turmeric

সীসা মেশানো হলুদ গুঁড়ো বিক্রি হচ্ছে ভারত, নেপাল, পাকিস্তানে! কত ক্ষতি হতে পারে শরীরের?

লেড বা সীসা মেশানো হলুদ গুঁড়োতে ভারতের বাজার ছেয়ে গিয়েছে। নেপাল ও পাকিস্তানের বাজারেও ভেজাল মেশানো হলুদ উদ্ধার হয়েছে। এই সীসা শরীরে ঢুকলেই মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:২৯
Share:

ভেজাল হলুদ চেনার উপায় বলেছে এফএসএসএআই। প্রতীকী ছবি।

রান্নায় যে হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করছেন, তা খাঁটি তো? হলুদের মাধ্যমে শরীরে বিষ ঢুকছে না তো? মশলা গুঁড়োতে যথেচ্ছ পরিমাণে ভেজাল মেশানো হচ্ছে বলে আগেও খবর সামনে এসেছে। কয়েকটি সংস্থার নামে অভিযোগও উঠেছিল। এ বার জানা গিয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত লেড বা সীসা মেশানো হলুদ গুঁড়োতে ভারতের বাজার ছেয়ে গিয়েছে। কেবল ভারত নয়, নেপাল ও পাকিস্তানের বাজারেও ভেজাল মেশানো হলুদ উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের ২৩টি শহরে সমীক্ষা চালিয়ে ভেজাল হলুদের খবর সামনে এনেছে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের পিয়োর আর্থ ও ফ্রিডম এমপ্লয়বিলিটি অ্যাকাডেমি। দেশের চেন্নাই, গুয়াহাটি, পটনা-সহ মোট ৭টি শহর, নেপালের কাঠমান্ডু, পাকিস্তানের করাচি, ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারে মাত্রাতিরিক্ত সীসা মেশানো হলুদ গুঁড়ো পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, এত বেশি সীসা মিশছে হলুদে যে, তা শরীরে ঢুকলে কিডনির জটিল অসুখ হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। পাশাপাশি, ক্ষতি হবে হার্টেরও।

দোকান থেকে কেনা হলুদ গুঁড়োতে এমনিতেও সীসা মেশানো থাকে। তবে তার একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে। গুঁড়ো হলুদ তৈরির সময়ে ঠিক কতটা সীসা মেশালে তা ক্ষতিকর হবে না, সেই মাপ বেঁধে দিয়েছে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (এফএসএসএআই)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন এই সংস্থার রিপোর্ট বলছে, প্রতি গ্রাম হলুদে ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি সীসা মেশানো যাবে না। কিন্তু যে সব ভেজাল হলুদ উদ্ধার হয়েছে সেগুলির প্রতি গ্রামে ১০০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি সীসা পাওয়া গিয়েছে যা বিপজ্জনক।

Advertisement

এফএসএসএআই জানিয়েছে, সীসা বেশি শরীরে ঢুকলে তা কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। রক্তচাপ আচমকা বেড়ে যাবে, হৃদ্‌রোগের আশঙ্কাও বাড়বে। শিশুদের শরীরে বেশি সীসা ঢুকলে তা হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য সীসা বিষের সমান। বেশি পরিমাণে শরীরে গেলে ভ্রূণের গঠন সম্পূর্ণ হবে না। অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি থেকে যাবে।

ভেজাল হলুদ চিনবেন কী উপায়ে?

হলুদ গুঁড়ো খাঁটি না তাতে ভেজাল মেশানো আছে, তা চেনার উপায় বলে দিয়েছে এফএসএসএআই। এক গ্লাস জলে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দেখুন জলের রং হলুদ হয়ে যাচ্ছে কি না। খাঁটি মশলা জলের নীচে গিয়ে জমা হবে। যে গ্লাসের জলের রং উজ্জ্বল হলুদ হবে, বুঝে নিতে হবে সেটাই ভেজাল। অন্য দিকে যে গ্লাসের জলের হলুদের রং অনেকটাই ফিকে এবং হলুদগুঁড়ো গ্লাসের তলায় থিতিয়ে পড়েছে, সেটিই খাঁটি হলুদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement