Mysterious Death of Actress

অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, গলায় গামছা জড়ানো দেহ মিলল প্রশিক্ষকের হরিদেবপুরের বাড়ি থেকে

অভিনয়ের সুযোগ খুঁজছিলেন সুস্মিতা। সে কারণে প্রায়ই আসতেন কলকাতায়। কলকাতায় এলে হরিদেবপুরে প্রশিক্ষক সঞ্জয় নস্করের বাড়িতে থাকতেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ১৩:৫৮
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কলকাতায় এক উঠতি অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু। হরিদেবপুরে তাঁর প্রশিক্ষকের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান তাঁর ‘সঙ্গী’। গামছার ফাঁস খুলে তাঁকে শুইয়ে দেন বিছানায়। খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে হরিদেবপুর থানা খবরটি পায়। তারা জানতে পারে, বনমালী ব্যানার্জি রোডে এক তরুণী গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। সেখানে পৌঁছে দেখেন, বিছানার উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তরুণী। বাড়িটির এক তলায় থাকতেন সেই তরুণী। তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, মৃতার নাম সুস্মিতা দাস। বয়স ১৯ বছর। আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের আগাডোরার বাসিন্দা। অভিনয়ের সুযোগ খুঁজছিলেন তিনি। সে কারণে প্রায়ই আসতেন কলকাতায়। কলকাতায় এলে হরিদেবপুরে সঞ্জয় নস্করের বাড়িতে থাকতেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই সঞ্জয় হলেন সুস্মিতার প্রশিক্ষক। বুধবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। এসে সেই সঞ্জয়ের ভাড়াবাড়িতেই উঠেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বাড়ি ফেরেন সঞ্জয়। ফ্ল্যাটের বেডরুমে ঢুকে দেখেন গলায় গামছা দিয়ে পাখা থেকে ঝুলছেন সুস্মিতা। সঙ্গে সঙ্গে ফাঁস খুলে তাঁকে বিছানায় শুইয়ে দেন। এর পর থানায় খবর দেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুস্মিতার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। শুধু গলায় গামছার ফাঁসের দাগ রয়েছে। তরুণীর পরিবারকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিবারের কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ, জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement