—ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার সচল হল রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের টিকিট বুকিং সার্ভার। রেল কর্তাদের দাবি, টিকিট কাটার ক্ষেত্রে যাত্রীদের যে ধরণের অসুবিধের মুখে পড়তে হয়েছে তার অনেকটাই এ দিন থেকে দূর করা গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে বলে
কর্তাদের দাবি।
পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর সীমান্ত রেল, পূর্ব উপকূল রেল সহ মোট ৬ টি জোনের টিকিট বুকিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হতো নিউ কয়লাঘাট ভবনের তিন তলার ওই সার্ভারের মাধ্যমে। গত সোমবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে ওই বিল্ডিংয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সে দিন সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট থেকে সার্ভার সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে। ঘটনার অভিঘাতে অনলাইনে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট বুকিং ছাড়াও শহরতলির ট্রেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হয়। ইউটিএসঅন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে শহরতলির বিভিন্ন লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে বলে রেল সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার, সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বসানো বিকল্প সার্ভার কাজে লাগিয়ে অনলাইন টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং রেলের চার্ট তৈরির প্রক্রিয়া চালু করা হয়। কিন্ত, বহু স্টেশনেই শহরতলির ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। ফলে, আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেলে বুধবার থেকে দ্রুত নিউ কয়লাঘাট ভবনের তৃতীয় তলের সার্ভার রুম সচল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রেলের পক্ষ থেকে বিশেষ জেনারেটর সেটও নিয়ে আসা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ পুনস্থাপিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার থেকে রেলের কর্মীদের ওই বিভাগে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ দিনই সার্ভার সম্পূর্ণ সচল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে পূর্ব রেল সূত্রের খবর। খুব তাড়তাড়ি টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে জানাচ্ছেন রেল কর্তারা।
তবে, নিউ কয়লাঘাট ভবনের ১১ তলায় থাকা রেলের ১৩৯ নম্বরের যাত্রী সহায়তা হেল্প লাইনের দফতর এখনও সচল করা যায়নি। আপাতত নয়ডা থেকে ওই ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা। যাত্রীরা যে কোনও প্রয়োজনে ওই নম্বরে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারেন বলে খবর।
রেল কর্তাদের দাবি, অগ্নিদগ্ধ নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে উপরের দুটি তল বাকি রেখে বাকি তলগুলি খুলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে, দমকল বিভাগ বিভিন্ন প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে তবেই অনুমতি দেবে বলে খবর।