সল্টলেকে প্রাতর্ভ্রমণকারীকে খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও রহস্য ভেদ হয়নি। তবে দ্রুত এই খুনের কিনারা হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘটনায় ধৃত কুন্তল সামন্তকে শুক্রবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে তাঁর ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকে সুইমিং পুল স্টপের কাছে খুন করা হয় উচ্চশিক্ষা দফতরের কর্মী কার্তিক সাহাকে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁরই প্রতিবেশী কুন্তলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই খুন। কিন্তু খুনের পিছনে আরও কিছু রহস্য রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ধৃতের পরিচিত বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সেখান থেকেও বেশ কিছু সূত্র মিলেছে।
এ দিকে কুন্তলের পরিবারের তরফে আদালতে জানানো হয়, বৈশাখী আবাসনে তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। আদালত তাঁদের স্থানীয় থানায় ঘটনাটি জানাতে বলে।
এ দিন ময়নাতদন্তের পরে কার্তিকবাবুর দেহ বৈশাখী আবাসনে পৌঁছলে তাঁর স্ত্রী সুজাতা সাহাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে। যদিও বাসিন্দারা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপি-র তরফে এ দিন বিধাননগর পুলিশের কাছে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়।