প্রতীকী ছবি।
বিপুল অঙ্কের নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করলেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দারা। শনিবার ময়দান থানা এলাকায় একটি গাড়িকে আটক করেন তাঁরা। চালকের আসনে থাকা মহম্মদ আব্বাস খান ওরফে শরদ (৩২) এবং আরোহী মহম্মদ জিয়াউর রহমান (৩১)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি মণিপুরে। এসটিএফ জানিয়েছে, ওই মাদক ইয়াবা নামে বেশি পরিচিত।
এসটিএফ সূত্রের খবর, কয়েক মাস ধরেই কলকাতা হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। শনিবারও গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে, দামি একটি গাড়িতে পাচারকারীরা বিপুল অঙ্কের ইয়াবা নিয়ে ঢুকবে। সেই মতো ডাফরিন রোডে নজর রাখতে শুরু করেন গোয়েন্দারা। দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ নম্বরবিহীন একটি দামি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। সেটিকে আটক করে দেখা যায়, গাড়িতে বসে দুই মণিপুরী যুবক। অথচ তাদের সঙ্গে কোনও ব্যাগ নেই। ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের সন্দেহ হয়। কারণ এর আগেও দেখা গিয়েছে, গাড়ির দরজার সঙ্গে এমন ভাবে মাদক লুকিয়ে পাচার করা হয়েছে যে, বাইরে থেকে তা সহজে চোখে পড়ে না।
এর পরেই গোয়েন্দারা তল্লাশি চালিয়ে ‘অ্যামফেটামিন’ জাতীয় মাদক বাজেয়াপ্ত করেন। এসটিএফ জানিয়েছে, ৫ কেজি ৬০০ গ্রামের মোট ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক গোয়েন্দা-কর্তা বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক বাজার-মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।’’
এসটিএফ সূত্রের খবর, গত ১৪ অক্টোবর চিংড়িহাটা থেকে সৈয়দ শাহিদ আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে ইয়াবা-সহ গ্রেফতার করা হয়। তখনই সে জেরায় জানিয়েছিল, ১৯ অক্টোবর ফের শহরে এই মাদক নিয়ে ঢুকবে পাচারকারী চক্রের লোকজন। সেই মতো শনিবার ওত পেতেছিলেন গোয়েন্দারা।
গত কয়েক দিনের মধ্যে তিন মাদক পাচারকারী ধরা পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি কলকাতা শহরেও ইয়াবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে? গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই মাদকের ব্যবহার বাড়ছে ঠিকই। তবে একই সঙ্গে পাচারকারীরা কলকাতাকে ‘ট্রানজিট’ পয়েন্ট হিসেবেও ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে এই রাজ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করতে কলকাতাকে বেছে নিচ্ছে তারা।