বেআইনি: প্যাকেটের ভিতরে রয়েছে খেজুরের মতোই দেখতে বাদামি রঙের চরসের গুলি। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
বাইরে থেকে দেখতে হুবহু খেজুরের প্যাকেট। ওই প্যাকেট খুলতে বেরিয়ে এল খেজুরের মতোই দেখতে বাদামি এবং সবুজ রঙের কিছু জিনিস। কিন্তু, সেগুলি আসলে চরসের গুলি। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে ওই চরসকে খেজুরের মতো আকার দিয়েছিল পাচারকারীরা!
শনিবার গভীর রাতে জোকার একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) বাজেয়াপ্ত করে সুটকেস ভর্তি ২০ কিলোগ্রাম চরস। গ্রেফতার হয়েছে তিন জন। পুলিশ জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া চরসের আনুমানিক বাজারদর প্রায় এক
কোটি টাকা।
এসটিএফ জানিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার জোকার ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় তারা। ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিল প্রশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তি। ফ্ল্যাট থেকে মেলে বেশ কয়েকটি সুটকেস। সেগুলির ভিতরেই ছিল চরসের গুলি। সঙ্গে সঙ্গে প্রশান্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে অবশ্য ঠাকুরপুকুর এলাকার মাদক কারবারি, জাকির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রশান্তের ফ্ল্যাটের খোঁজ মেলে।
এসটিএফ সূত্রের খবর, ওই প্যাকেটগুলি চিন হয়ে হংকংয়ে পাচারের জন্য রাখা হয়েছিল। প্রশান্তের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে তার সঙ্গী মাসুক আহমেদকে। মাসুকের বাড়ি মোমিনপুর এলাকায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে প্রশান্ত ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়। যদিও অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, সে গৃহশিক্ষকতা করে। ধৃত তিন জনের মধ্যে জাকিরের নামে আগেও মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ধৃতেরা মূলত নেপাল থেকে চরস কলকাতায় এনে খেজুরের প্যাকেটে ভরত। পুলিশকে ফাঁকি দিতে চরসের গুলির সঙ্গে মেশানো হত শুকনো খেজুরও। আর সেই খেজুরের প্যাকেট ভর্তি চরস চিন হয়ে চলে যেত হংকংয়ে। রবিবার সকালে প্রশান্তদের চিনের চিনের কুনমিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এসটিএফ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে এক দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।